এবার ইদে খান নয়, বক্স অফিসে জব্বর টক্কর নব্বইয়ের দশকের দুই পোড়খাওয়া খিলাড়ি অজয় দেবগণ ও অক্ষয় কুমারের। ইদে ভারতীয় ফুটবলের স্বর্ণযুগকে পর্দায় ফিরিয়ে আনলেন অজয়, অন্যদিকে পুরোদস্তুর বাণিজ্যিক ছবি ‘বড়ে মিঁয়া ছোটে মিঁয়া’ নিয়ে হাজির অক্ষয় কুমার, সঙ্গী টাইগার শ্রফ। প্রাথমিক লড়াইয়ে বক্স অফিসের টক্করে ময়দানকে গোল দিচ্ছেন অক্ষয়-টাইগার জুটি। প্রথম দিনের পর দ্বিতীয় দিনেও আয়ের নিরিখে অনেকটাই পিছিয়ে ‘ময়দান’।
ময়দানের বক্স অফিস কালেকশন
অজয় দেবগন অভিনীত এই স্পোর্টস ড্রামা ভারতে ভালো ব্যবসা করলেও প্রত্যাশা পূরণে পুরোপুরি সফল এমনটা বলা যাবে না। Sacnilk.com-এর রিপোর্ট বলছে প্রথম দু-দিনে দেশের বক্স অফিসে এই ছবির মোট আয় ৯ কোটি টাকার আশেপাশে। ভারতীয় ফুটবল কোচ সৈয়দ আবদুল রহিমের বায়োপিক এটি। বুধবার পেইড প্রিভিউ থেকে ময়দান সংগ্রহ করেছিল ২.৬ কোটি টাকা। বৃহস্পতিবার ইদের দিনে মাত্র ৪.৫ কোটি টাকাতেই আটকে যায় ছবি, যা দুর্ভাগ্যজনক। প্রাথমিকভাবে ধারণা শুক্রবার ময়দানের আয় ছিল ২.৭২ কোটি টাকা। ফলস্বরূপ, দু-দিনে ছবিটি মোট ৯.৮২ কোটি টাকা আয় করেছে।
বড়ে মিঁয়া ছোটে মিঁয়ার দু-দিনে আয়
বড়ে মিয়াঁ ছোটে মিয়াঁ বক্স অফিসে ফাটিয়ে ব্যবসা করছে। Sacnilk.com মতে, ছবিটি দুই দিনে মোট ২১ কোটি টাকা আয় করেছে। তবে ইদের দিনের তুলনায় শুক্রবার ছবির আয় এক ঝটকায় অনেকটা কমেছে। প্রথমদিন এই ছবির মোট ১৫.৬৫ কোটি টাকার টিকিট বিক্রি হয়েছিল। দ্বিতীয় দিনে তা কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৫.৯ কোটিতে। অর্থাৎ তিনভাগের একভাগ। এখনও পর্যন্ত ছবিটি ভারতে আয় করেছে ২১.৫৫ কোটি টাকা।
ময়দান প্রসঙ্গে
এই ছবিতে জীবন্ত হয়ে উঠেছে ভারতীয় ফুটবলের স্বর্ণযুগ। ফুটবলের প্রতি কোচ সৈয়দ আবদুল রহিমের অবিচল উত্সর্গের একটি মর্মস্পর্শী চিত্র, এই ছবি। হেলসিঙ্কিতে অলিম্পিকে ভারতীয় ফুটবল দলের লজ্জাজনক হার থেকে ১৯৬২-তে জাকার্তায় অনুষ্ঠিত এশিয়ান গেমসে ভারতীয় দলের সোনা জেতার কাহিনি এই ছবিতে তুলে ধরেছেন অমিত রবীন্দ্রনাথ শর্মা। আন্তর্জাতিক স্তরে কোচ রহিমের নেতৃত্বে ভারতীয় ফুটবল দল যে সাফল্য দেখেছিল, গত ৬৪ বছরে তা ফিরে আসেনি।
এই ছবিতে সৈয়দ আবদুল রহিমের চরিত্রে অভিনয় করেছেন অজয় দেবগন। সঙ্গে রয়েছেন প্রিয়ামণি, গজরাজ রাও ও রুদ্রনীল ঘোষ। এই ছবিতে চুনী গোস্বামী চরিত্রে অভিনয় করে নজর কেড়েছেন চৈতি ঘোষাল পুত্র অমর্ত্য রায়। সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন এ আর রহমান।
বড়ে মিঁয়া ছোটে মিঁয়া প্রসঙ্গে
এই ছবিতে অক্ষয় কুমার, টাইগার শ্রফের পাশাপাশি দেখা মিলেছে সোনাক্ষী সিনহা, মানুষী চিল্লার এবং আলায়া এফের। সিনেমাটিতে পৃথ্বীরাজ সুকুমারনও একটি আকর্ষণীয় খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। ছবিটি প্রযোজনা করেছেন বাসু ভাগনানি, দীপশিখা দেশমুখ, জ্যাকি ভাগনানি, হিমাংশু কিষাণ মেহরা এবং আলি আব্বাস জাফর। মুম্বাই, লন্ডন, আবুধাবি, স্কটল্যান্ড এবং জর্ডানের মতো লোকেশনগুলিতে শ্যুট করা এই প্যান-ইন্ডিয়া ছবি প্রশংসা কুড়িয়েছে আন্তর্জাতিক মানের অ্যাকশন দৃশ্য পর্দায় তুলে ধরার জন্য।
হিন্দুস্তান টাইমসের রিভিউতে এই ছবি নিয়ে লেখা হয়েছে, ‘যাদের অ্যাকশন ছবির প্রতি ঝোঁক, তাঁদের জন্য বিএমসিএম অবশ্যই ওয়ান টাইম ওয়াচ। অন্য কিছু না হলেও, অক্ষয় এবং টাইগারের অনস্ক্রিন রসায়ন তথা ব্রোম্যান্স বেশ চিত্তাকর্ষক’।