অনেকগুলো দিন কেটে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। তবে বিশ্বকাপের ট্রফি হাতছাড়া হওয়ার কষ্ট এখনও ভুলতে পারেনি দেশের মানুষ। সঙ্গে অবশ্য বিতর্ক বাড়ছে পড়শি বাংলাদেশের সঙ্গে। ‘কলাগাছকে সাপোর্ট করব, তবু ইন্ডিয়াকে করব না’-- বাংলাদেশের এক তরুণীর এমন মন্তব্য ভাইরাল হয়েছে। অনেক ভারতবাসীই বাংলাদেশকে বয়কট করার ডাক দিয়েছে। এখানেই শেষ নয়, অনেক হোটেলও নিজেদের দরজা বন্ধ করছে বাংলাদেশের পর্যটকদের জন্য। তারকাদের কেউ কেউ মন্তব্য করে ফেলেছেন এই উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ে।
অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী ভারত বিদ্বেষ প্রসঙ্গে মুখ খুলে নিজের দেশের মানুষেরই বিরাগভাজন হয়েছেন ইতিমধ্যে। এবার এই নিয়ে মন্তব্য করতে দেখা গেল জনপ্রিয় অভিনেতা মোশারফ করিমকে।
চঞ্চলের বক্তব্য
কারাগার অভিনেতা এক সংবাদমাধ্যমের কাছে খুলেছেন মুখ। তাঁর মত, খেলায় হারজিতের কারণে হিংসার ছবি প্রকাশ্যে আসা ঠিক নয়। মেনে নেন, বাংলাদেশে অনেক ভারত বিদ্বেষী আছেন। সেখানকার বহু মানুষ এখনও মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেন, আবার অনেকে সমর্থনও করেন। কেউ কেউ ভারত-পাকিস্তান খেলা হলে, পাকিস্তানকেও সমর্থন করেন। তবে চঞ্চল মনে করেন, বাংলাদেশের ২০ কোটি মানুষই ভারত বিরোধী এমনটা ঠিক নয়।
এই মন্তব্য করে তীব্র কটাক্ষের মুখে পড়তে হয় চঞ্চলকে। ‘আজকাল ভারতে কাজে যাচ্ছেন বলে নিজের দেশের সমালোচনা করছেন’., মন্তব্য করে কেউ কেউ।
কী বললেন মোশারফ করিম
কিছুটা চঞ্চলের সুরেই সুর মেলালেন মোশারফ। মেনে নিলেন খেলাকে খেলার মাঠে ছেড়ে আসাই ভালো। বাংলাদেশের এক সংবাদমাধ্যমকে অভিনেতা বলেন, ‘আমি জানতাম এই প্রশ্নটা আমার কাছে আসবে। আমার মনে হয়, মাঠের খেলা, মাঠের মধ্যে থাকাটাই ভাল। খেলাকে এমন একটা জায়গায় মাঝে মাঝে নিয়ে যাওয়া হয়, যার মাধ্যমে কখনোই ভালো পরিবেশ তৈরি হয় না। এই খেলাধুলার বিষয়গুলোকে, আমি আসলে খুব বড় করে দেখি না। কারণ মানুষের মন থেকে কদিনের মধ্যেই হারিয়ে যায়। সাময়িকভাবে মানুষকে দুঃখ দেয়, আনন্দ দেয়। কিন্তু দিনশেষে এগুলো তো খেলাই।’
ভারতের বেশ কিছু সিনেমাতেও কাজ করেছেন। এই দেশে আসার অভিজ্ঞতা শেয়ার করে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি ভারতে আসার জন্যই প্রথম পাসপোর্ট তৈরি করি। তখন আমার কৈশোর উত্তীর্ণ একটা সময়। বনগাঁ সীমান্ত দিয়ে ঢুকেই মনে হয়েছিল, সেই একই দেশ। একই গাছপালা, একই খাল, একই সেতু, লোকজনের কথাবার্তার ধরনও এক।’