সোশ্যাল মিডিয়ায় অশ্লীল ছবি আর ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন বলে অভিযোগ আনা হয়েছে বাংলাদেশের নায়িকা পরীমনির বিরুদ্ধে। এবং সেইসব ছবি আর ভিডিয়ো সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে সেই দেশের আদালত। এসব ছবি ও ভিডিওকে অশ্লীল আখ্যা দিয়ে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে তা অপসারণ করতে বলা হয়েছে।
একইসাথে আদালতের দেওয়া নোটিসে অভিনেত্রীকে সাবধান করে দেওয়া হয়েছে যাতে তিনি ভবিষ্যতেও অশ্লীল সংলাপ, অভিনয়, অঙ্গভঙ্গি থেকে সম্পূর্ণভাবে বিরত থাকেন। সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার ও ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবী ইসমাতুল্লাহ লাকী তালুকদারের এই নোটিস দিয়েছেন বাংলাদেশের নায়িকাকে। যদিও সেই নোটিস এখনও হাতে আসেনি বলেই দাবি জানিয়েছেন পরী।
মাদক মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর যেদিন জামিনে ছাড়া পান সেদিন পরীমনির হাতের তালুতে লেখা ছিল, ‘ডোন্ট লাভ মি বিচ’। একইসাথে মামলার শুনানির দিনও অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি ও হাতে অশ্লীল বার্তা লিখে ছবির জন্য পোজ দিতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে।
আইনি নোটিসে পরীমনিকে মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে তিনি বাংলাদেশের একজন পরিচিত মুখ। যাকে শিশু-কিশোর-তরুণ-বৃদ্ধ সমস্ত প্রজন্মের মানুষ দেখেন টিভিতে বা সিনেমায়। তাই তাঁর মাধ্যমে যদি কোনও ভুল বার্তা সমাজের কাছে পৌঁছয় তাতে সবার ক্ষতি।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের বাংলাদেশের এই নায়িকা প্রথমে খবরে আসেন ঢাকার একটি ক্লাবে মারধর ও যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগে করে। সেই সময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকেও খোলা চিঠি লেখেন তিনি। এরপর আবার তাঁর বনানীর বাড়ি থেকে ৪ অগস্ট গ্রেফতার হন বিপুল মাদকসহ। সেই সময় প্রায় ১ মাস কারাগারে ছিলেন তিনি।