একই সঙ্গে চর্চিত ও বির্তকিত, তারপরও বাংলাদেশে জনপ্রিয় শাকিব খান। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে জলঘোলা এখনও থামেনি। তারই মধ্যে অভিযোগকারী প্রযোজক রহমত উল্লাহর সঙ্গে একেরপর এক ঝামেলায় জড়িয়েছেন শাকিব। যা এখনও জারি রয়েছে।
কিছুদিন আগেই প্রযোজক রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তোলেন শাকিব। তোলাবাজি ও খুনের হুমকির অভিযোগ আনেন। ২৬ এপ্রিল, বুধবার এই মামলায়, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরফাতুল রাকিবের আদালতে আত্মসমর্পণ করেন অভিযুক্ত প্রযোজক। তারপর আইনজীবীর মাধ্যমে জামিনের আবেদন করেন রহমত উল্লাহ। এর আগে এই মামলায় নায়কের জবানবন্দির পর প্রযোজককে আদালতে ২৬ এপ্রিল হাজিরা দিতে বলে সমন পাঠানো হয়েছিল। সেই মতোই হাজিরা দিয়েছিলেন রমমত উল্লাহ। তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে আদালত। এদিন অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে আদালতে হাজিরা দেননি শাকিব খান।
প্রসঙ্গত, গত ২৩ মার্চ ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরফাতুল রাকিবের আদালতে প্রযোজক রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে তোলাবাজি ও খুনের হুমকির মামলা দায়ের করেন শাকিব খান। এরপর ফের ২৭ মার্চ টেলিভিশনে তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা ও মানহানিকর বক্তব্য রাখার অভিযোগে প্রযোজকে বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা করেন শাকিব। এরপর ১৩ এপ্রিল মানহানিক অভিযোগে শাকিবের বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা করেন প্রযোজক রহমত উল্লাহ।
প্রযোজকের আইনজীবী বলেন, ‘মামলা প্রত্যাহারের জন্য শাকিব খানের কাছে আমরা আইনি চিঠি পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু কোনও উত্তর আসেনি। আমরা বক্তব্য তুলে নেওয়ার জন্য তিনদিন সময় দিয়েছিলাম। শাকিব তা করেননি। তাই আমরা শাকিবের বিরুদ্ধে ৪৯৯,৫০০ ও ৫০১ ধারায় মামলা দায়ের করেছি। শীঘ্রই তার তদন্ত শুরু হবে।’ এদিকে শাকিবের অভিযোগের ভিত্তিতে আদালতের নির্দেশে তদন্তের ভার পড়েছে PIB-র উপর। ৬ জুন তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, শাকিবের সঙ্গে রহমত উল্লাহর ঝামেলার সূত্রপাত 'অপারেশন অগ্নিপথ' ছবির সহ প্রযোজককে ধর্ষণের অভিযোগ ঘিরেই। ছবির মূল প্রযোজক ছিলেন রহমত উল্লাহ। শাকিবের বিরুদ্ধে তাঁর ছবির সহ-প্রযোজককে ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছিলেন তিনিই। যে ঝামেলা মিটিয়ে নিতে বৈঠকও করেছিলেন তাঁরা। তবে সমস্যার সমাধান হয়নি। পরে শাকিবের পাল্টা অভিযোগ ছিল তাঁকে হানি ট্র্য়াপে ফাঁসানো হয়েছে।