সোমবার করোনা মোকাবিলায় দেশজুড়ে ২১ দিনের লকডাউনের ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেদ্র মোদী। প্রতি মুহূর্তে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্য বাড়ছে। তাই দেশব্যাপী এই লকডাউন অত্যন্ত জরুরি জানিয়েছেন নমো। ‘জান হ্যায় তো জাহান হ্যায়’-মোদীর এই বক্তব্যের সঙ্গে সহমত বলিউড থেকে টলিউড তারকারা।
লন্ডন থেকে ফিরে মিমি চক্রবর্তী নিজেই হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১৮ই মার্চ থেকে। মিমি টুইট বার্তায় জানান, দয়া করে সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করুন। আসুন আমরা সবাই চিকিত্সক, পুলিশকর্মী, পুরসভার সাফাইকর্মীদের সাহায্য করি-যারা দিনরাত্রি আমাদের জন্য কাজ করে চলেছে।
অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত টুইটারে দেওয়ালে লেখেন, '২৫ মার্চ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত ভারত লকডাউনের মধ্যে রয়েছে আমাদের নিজেদের সুরক্ষার জন্য! দয়া করে ভয় পাবেন না, জরুরি পরিষেবা জারি হয়েছে মানুষের জন্য’।
শীঘ্রই মা হতে চলেছেন অভিনেত্রী কোয়েল মল্লিক। এই উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতেও আশাবাদী নায়িকা। মঙ্গলবার টুইটারের দেওয়ালে নায়িকা লেখেন,'বাড়িতে থাকুন, সুরক্ষিত থাকুন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন, নিজেদের হাত পরিষ্কার করুন। বিশ্বাস রাখুন, সাহসী হোন..আসুন আমরা সবাই মিলে একে অপরের ভালোর জন্য প্রার্থনা করি.. আমরা করোনার বিরুদ্ধে সবাই একসঙ্গে লড়াই করি...'
সরকার এবং মানুষ যেভাবে আগে থেকে সচেতন হচ্ছে তাতে ভারতবর্ষ ঘুরে দাঁড়াবেই। COVID-19-এর বিরুদ্ধে লড়াইতে জয়ী হবেই বিশ্বাসী অনির্বান ভট্টাচার্য। তিনি লেখেন, 'আমার অতি-সাধারণ বৈজ্ঞানিক ও সামাজিক সেন্স বলছে,ভারতবর্ষ,পশ্চিমবঙ্গ যে সময় সাবধানতাকে আঁকড়ে ধরেছে লকডাউন, আইনি ব্যাবস্থা ইত্যাদির মাধ্যমে, সমস্ত অবাধ্যতা,দৈনিক পৈটিক বাধ্যতা সত্ত্বেও আমাদের দেশ থেকেই slow down করবে covid-19'
প্রধানমন্ত্রীর কথা মেনে নিলেও কিছুটা উদ্বেগে অভিনেতা জয়জিত্ বন্দ্যোপাধ্যায়। বাইরে না বেরলো নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস মিলবে কী করে? তাই নিয়ে ধন্দে অভিনেতা।
যদিও প্রধানমন্ত্রী কিন্তু জানিয়েছেন মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস সরবরাহ সুনিশ্চিত করতে সব রকম উদ্যোগ নেবে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। মুদির দোকান ও খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থা চালু থাকবে, খোলা থাবে ইকমার্স গ্রসারিও।