অনেকেই এই বলিউড তারকাকে পরামর্শ দিয়েছিলেন, বেশি বয়সের কারণে আর সন্তান না নেওয়ার। এমনকী, বেশ কিছু সমস্যাতেও পড়তে হয়েছিল গর্ভধারণ নিয়ে। তবে একসঙ্গে ৩ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। কাজের পাশাপাশি সমানতালে সামলাচ্ছেন সংসারও।
তাঁর পরিচয় শুধু পরিচালক হিসেবে নয়, বরং নামি কোরওগ্রাফারও। একাধিক রিয়েলিটি শো-এর বিচারকের আসনেও বসেছেন। সোমবার ছিল সন্তানদের জন্মদিন। শুভেচ্ছা জানিয়ে সামাজিকমাধ্যমে তিনি লিখেছিলেন, ‘১৬ বছরের জন্মদিনের শুভেচ্ছা আমার তৈরি করা ৩ সেরাদের।’ সঙ্গে ট্যাগ করেন @czarkunder @divakunder @anyakunder।
আরও পড়ুন: জেল থেকে হমকি দিচ্ছে কনম্যান সুকেশ! নিরাপত্তার অভাবে দিল্লি পুলিশে জ্যাকলিন
ঠিকই ধরেছেন কথা হচ্ছে ফারহা খানের। ২০০৮ সালে ত্রিপলেটসের জন্ম দেন তিনি- ডিভা কুন্ডার, আনিয়া কুন্ডার এবং জার কুন্ডার। দেখতে দেখতে ১৬ বছরে পা রাখল ফারহার সন্তানেরা।
আরও পড়ুন: লাহোর ১৯৪৭-এ সানির সঙ্গে এই সুন্দরী নায়িকা, বর্তমানে দুই সন্তানের মা!
ফারাহ খান বলিউডের প্রথম নারী চলচ্চিত্র নির্মাতাদের মধ্যে একজন যিনি ম্যায় হু না, ওম শান্তি ওম এবং হ্যাপি নিউ ইয়ারের মতো মূলধারার সিনেমাগুলি বানিয়েছেন। ফারাহ প্রথমে কোরিওগ্রাফার হিসেবে কাজ করেন আমির খানের 'জো জিতা ওহি সিকন্দার' সিনেমার 'পেহলা নাশা' গানেতে। শিরিষ কুন্দ্রার সঙ্গে ২০০৪ সালে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন। ফারহা ২০০৮ সালে ৪৩ বছর বয়সে IVF এর মাধ্যমে তার তিন সন্তানকে স্বাগত জানিয়েছিলেন এই দুনিয়াতে।
আরও পড়ুন: ‘সেটা মিছে কথা, নেইকো কারুর চোখরাঙানি’! নবনীতা ‘অতীত’, লিখলেন জিতু কমল
এর আগে মিকা সিং-এর স্বয়ম্বরে গিয়ে মুখ খুলেছিলেন ফারহা ‘বিয়ের বয়স’ নিয়ে। তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘বিয়ের কোনও নির্দিষ্ট বয়স হয় না, মনের মত মানুষ পেলেই বিয়র পিঁড়িতে বসা উচিত।’ এমনকী কদিন আগে সামান্থা রুঠ প্রভুর করা একটি সফট ড্রিঙ্কের বিজ্ঞাপন শেয়ার করেও এরকমই কিছু লিখেছিলেন, ‘এই ভিডিয়ো দেখে আমার মনে পড়ে গেল কীভাবে সমাজের কিছু মানুষ একজন কোরিওগ্রাফার হিসেবে, একজন পরিচালক হিসেবে শুধু নয় একজন মানুষ হিসেবেও আমাকে টেনে নামানোর চেষ্টা করেছে। তুমি তো কোরিওগ্রাফারদের মতো পোশাক পরো না? মেয়েরা অ্যাকশন ফিল্ম বানাতে পারে না, এত বড় বয়সে আর বিয়ে করো না, এত বয়সে বাচ্চা হবে না-র মতো নানা কথা। কিন্তু আমি সবই করে দেখিয়েছি, সফলভাবে।’