গত বছর চর্চায় ছিল অভিনেতা জিতু কমলের ব্যক্তিগত জীবন। স্ত্রী নবনীতা দাসের সঙ্গে বিবাহিত জীবন নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। বছরের মাঝামাঝি হঠাৎই ডিভোর্সের ঘোষণা করেন অভিনেত্রী নবনীতা সোশ্যাল মিডিয়াতে। তার কিছুদিন আগেই খবর ছিল, বিবাহবার্ষীকি কাটাতে জিতু-নবনীতা ঘুরছেন লন্ডনে। মূলত ছবির শ্যুটে ভিনদেশে ছিলেন জিতু। আর তাঁকে সেখানে বিশেষ দিনে সঙ্গ দিয়েছিলেন অভিনেত্রী স্ত্রী।
এরপর জিতু আর নবনীতার ডিভোর্স নিয়ে শুরু হয় তুমুল চর্চা। প্রথমে অভিনেতার নাম জড়ায় পরপর দুটো ছবিতে কাজ করা শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে। তবে সেইসময় সব জল্পনা নাকচ করে দেন নবনীতা নিজেই। ফেসবুক লাইভে এসে জল ঢালেন বরের (তখনও অফিসিয়ালি ডিভোর্স হয়নি) নামে ওঠা জল্পনায়।
তবে হঠাৎই শুরু হয় নবনীতার ‘নতুন বন্ধু’কে নিয়ে চর্চা। স্নেহাল অধিকারি নামে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে তিনি গোয়া ঘুরতে গিয়েছেন বলে শোনা যেতে থাকে। এমনকী, দুজনের এক হোটেলে থাকার (একই রকম ব্যালকনিতে দুজনের ফোটো) ফোটোও আসে সামনে। তবে এরকম জল্পনায় কার্যত আকাশ থেকে পড়েছিলেন নবনীতা। সাফ জানিয়েছিলেন, ‘স্নেহাল আমার নতুন বন্ধু। জানি না এসব কথা কেন রটানো হচ্ছে’।
তবে এসব পিছনে ফেলে এগিয়ে এসেছেন অনেকটা জিতু আর নবনীতা দুজনেই। অভিনেত্রীর বিয়ের ফুল ধারাবাহিকের কাজ সদ্য শেষ হয়েছে। পরপর সিনেমায় কাজ করে চলেছেন জিতু। সঙ্গে মন দিয়েছেন শরীরচর্চা আর বাইকিংয়ে।
সোমবার রাতে বাইক ট্রিপের একটি ভিডিয়ো শেয়ার করে নিয়েছেন জিতু। যেখানে পাহাড়ের সর্পিল রাস্তা দিয়ে ছুটছে তাঁর সাধের দু চাকা গাড়িটি। আর সেই ভিডিয়োর ক্যাপশনেই লিখলেন, ‘গভীরে যাও, অতলে যাও, হারিয়ে যাও স্পর্শপুরে। নেই সেটা মিছে কথা, নেইকো কারুর চোখরাঙানি’।
কদিন আগে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের স্ত্রী, অভিনেত্রী মিথিলার সঙ্গে একটি সেলফি পোস্ট করেছিলেন জিতু। যা নিয়ে কম হইচই হয়নি। তবে এই ছবি ছিল কাজের সূত্রেই। পর্দায় অবতীর্ণ হতে চলেছে গোয়েন্দা অরণ্য চ্যাটার্জি। প্রধান চরিত্রে অর্থাৎ অরণ্যের চরিত্রে দেখা মিলবে জিতু কমলের। আর সেই নতুন প্রোজেক্টের সূত্রেই রাফিয়াত রশিদ মিথিলার সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করেন জিতু। সেলফি তুলে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে অভিনেতা লিখেছিলেন, ‘অরণ্য’র প্রাচীন প্রবাদ’।