ক্রিকেটের মাঠে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ব্যাট হাতে নামা মানেই ছিল টানটান উত্তেজনা। চার-ছয় আসতে হামেশাই, আর চিৎকারে মাতত গ্যালারি। এমনকী, টিভির সামনে থাকা ক্রিকেটপ্রেমীরাও লাগাতেন সৌরভের নামের জয়ধ্বনি।
এই একইভাবে কিন্তু সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় চার আর ছয় মেরে যাচ্ছেন তাঁর রিয়েলিটি শো দাদাগিরির মঞ্চেও। প্রতিটা প্রতিযোগীর সঙ্গে দাদা মিশে যেতে পারেন বাচ্চাদের মতো করেন। শিশুদের সঙ্গে ছোট্ট হয়ে যান। মন খোলা আড্ডায় এভাবে মেতে উঠতে খুব কমই দেখা যায় সৌরভকে।
মাঝেমধ্যে তো নিজেকে নিয়ে মস্করা করার সুযোগও ছাড়েন না বাংলার মহারাজা। রাই এসেছিলেন কদিন আগেই দাদাগিরিতে। রাইকথা নামে ইনস্টাগ্রামে একটি পেজ রয়েছে তাঁর। যেখানে যোগাভ্যাসের নানা ভিডিয়ো নিয়মিত শেয়ার করে থাকেন তিনি।
আরও পড়ুন: সাজে সেরা নীল-তৃণা, বেঙ্গল স্টাইল অ্যাওয়ার্ড পেল সৃজিত-শ্রাবন্তী-সুস্মিতারা
দাদাগিরিতে এসেও সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে শেখালেন ভ্রামরী প্রাণায়াম। এই যোগাভ্যাস নিয়মিত করতে পারলে বয়স কমে যায় ২০ বছর, জানিয়েছিলেন রাই। আর তাতে মস্করা করে সৌরভের জবাব ছিল, ১০ বছর বয়স কমলেই চলবে!
ভ্রামরী প্রাণায়ামে শ্বাস নেওয়া ছাড়ার উপরেই লুকিয়ে সুস্বাস্থ্যের রহস্য। দিনে ৫-১০ মিনিট করতে পারলেই হল। এক্ষেত্রে, বিশেষ মুদ্রায় দু’হাতের বুড়ো আঙুল দিয়ে চাপা দিতে হয় দুই কান। তারপর কনিষ্ঠ আঙুলকে রাখতে হবে থুতনির ওপর।
আরও পড়ুন: কমলা লেহেঙ্গায় সুস্পষ্ট বক্ষ বিভাজিকা! ৫৩র কাঞ্চনের নামের মেহেন্দি শ্রীময়ীর হাতে
দুই হাতের অনামিকা থাকে ঠোঁটের উপরে। আর মধ্যমা নাকের মাঝখানে। দুই চোখ বন্ধ করে তারওপর রাখতে হবে দুই হাতের তর্জনী। এভাবে হাতের পজিশন ঠিক করার পর, ম্বা শ্বাস নিতে হবে, তারপর হুমমম শব্দ করে ছাড়তে হবে।
আরও পড়ুন: জামনগরে স্টেজ রিহার্সল শুরু রিহানার, কত নিচ্ছেন পপ তারকা আম্বানির বিয়েতে গাইতে?
বর্তমানে ৫১ বছর বয়স সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের। ফিটনেসে কড়া নজর থাকে তাঁর। একবার দাদাগিরির মঞ্চে তা নিয়ে কথা বলেছিলেন তিনি। বলেছিলেন, সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে সবার আগে পান করেন করোলার জুস। যদিও সেটা সম্ভবত মজা করেই বলেছেন তিনি। তবে হাবেভাবে বহুবার সৌরভ বুঝিয়ে দিয়েছেন, তিনি এখন ডায়েট চার্টের বাইরে কিছুই খান না।
এমনকী, নিজের প্রিয় বিরিয়ানিটাও বছরে একবারই খান। সেটাও বউ ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্মদিনে। কদিন আগে দাদা বউদি বিরিয়ানির দুই কর্ণধার এসেছিলেন খেলতে। সেখানেও মাত্র ১ চামচই মুখে তোলেন তিনি।
চকোলেট, মিষ্টি, চিনি বা নুন আর ছুঁয়েও দেখেন না তিনি। রোজকার মেুনু থেকে চিকেন, মটনও বাদ পড়েছে। বছরকয়েক আগে বুকে স্ট্রেন বসায় এখন আরও বেশি কড়াকড়ি।