টনিক, প্রজাপতি-র সাফল্যের পর পরিচালক অভিজিৎ সেনের সঙ্গে জুটি বেঁধে ফের রুপোলি পর্দা কাঁপাতে আসছেন দেব। আর সেই ছবির অন্যতম আকর্ষণ ছোটপর্দার মিঠাইরানি। অপেক্ষার পালা শেষ! সোমবার বিকালে প্রকাশ্যে এল দেব-সৌমিতৃষার ‘প্রধান’-এর ট্রেলার। খাঁকি উর্দিতে দেবকে দেখে উচ্ছ্বসিত ভক্তরা।
এই ছবিতে দীপক প্রধানের চরিত্রে দেখা যাবে অভিনেতাকে। তাঁর স্ত্রীর চরিত্রে রয়েছেন সৌমিতৃষা। এক অসহায় বৃদ্ধ দম্পতি (পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও মমতা শঙ্কর) এবং পুলিশ অফিসারের সম্পর্কের আবর্তে তৈরি হয়েছে এই ছবি। দুর্নীতিগ্রস্ত অঞ্চল প্রধানের দাদাগিরির বিরুদ্ধে কীভাবে রুখে দাঁড়াবে দীপক প্রধান সেই নিয়ে এগোবে এই ছবি গল্প।
ট্রেলারের শুরুতেই দেখা গেল দীপক প্রধানের বিয়ের অনুষ্ঠান। নতুন বউয়ের ভাত-কাপড়ের দায়িত্ব না দিয়ে সে বলে, ‘আজ থেক আমরা ভালো বন্ধু হলাম’। এরপর স্বামী-স্ত্রীর কিছু আদুরে মুহূর্ত উঠে আসে। পরের দৃশ্যেই দেখা যায় ছেলের হাতে চরম অপমানিত হতে হয় বৃদ্ধ মাস্টারমশাই ও তাঁর স্ত্রীকে। সেই অপমানের জ্বালা বুকে নিয়ে শুরু নতুন লড়াই। অঞ্চল প্রধানের কাছে জোটে ‘চোর মাস্টার’ অপবাদ।
ধর্মপুর গ্রামের দায়িত্ব এখন ইন্সপেক্টর প্রধানের কাঁধে। তাঁকে টাকা দিয়ে কিনতে চায় গ্রামের অঞ্চল প্রধান জটিলেশ্বর মুখোপাধ্যায় (অনির্বাণ চক্রবর্তী)। কিন্তু সে বুঝিয়ে দেয়-‘এই হাত ঘুষ খায় না তাই সহজে ছাড়ানো যায় না।’ জুনিয়র সহকর্মীকে (সোহম চক্রবর্তী) বলে-'জীবনে টাকা দিয়ে সুখ পাওয়া যায় না বিবেক'।
অঞ্চল প্রধান ব্যক্তিগত শক্রুতা মনে পুষে রেখেছে দীর্ঘদিন। বৃদ্ধ মাস্টারমশাইয়ের ঢাল হয়ে দাঁড়িয়ে দেব অঞ্চল প্রধানকে জানাবে- ‘আপনি পদে প্রধান, আমি মানুষের বিপদে প্রধান’। দেবে মুগ্ধ পরাণ, তাঁর প্রশ্ন, ‘তুমি কি সত্যিই পুলিশ?’ কারণ তাঁর এতদিন দেখা পুলিশের সঙ্গে খাপ খায় না দীপক প্রধান!
এই ছবিতে মুখ্য তিন চরিত্র দেব, অনির্বাণ চক্রবর্তী এবং পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সৌমিতৃষা, সোহম, মমতার পাশাপাশি দেখা মিলবে কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, জন ভট্টাচার্য, সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়, অম্বরীশ ভট্টাচার্য, বিশ্বনাস বসু, খরাজ মুখোপাধ্যায়, কাঞ্চন মল্লিকদের।
২২ শে ডিসেম্বর বড় পর্দায় আসছে এই ছবি। দেবের সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ, কারণ ক্রিসমাসেই মুক্তি পাচ্ছে শাহরুখের ডাঙ্কি এবং প্রভাসের সালার। দুই বিগ বাজেট বলিউড ছবিকে টেক্কা দিয়ে হল দখলের লড়াইতে কতটা সফল হবে দেবের ছবি? সেটাই এখন দেখার। তবে ‘টনিক’-এর পর পরাণ-দেব ম্যাজিক দেখতে বাঙালি মুখিয়ে রয়েছে তা বলাই যায়।