২৫ ডিসেম্বর মুক্তি পেয়েছে সিদ্ধার্থ আনন্দের বহু প্রতিক্ষীত সিনেমা ফাইটার। প্রথমবার জুটি বেঁধেছেন হৃতিক রোশন আর দীপিকা পাড়ুকোন একসঙ্গে। দেশপ্রেমের জয়গান এর আগেও ভালো ফল করেছে বক্স অফিসে, আর বিশেষ করে তা যদি প্রজাতন্ত্র দিবস বা স্বাধীনতা দিবসের সপ্তাহে মুক্তি পায়, তাহলে তো কথাই নেই। ঠিক এক বছর আগে, ২০২৩ সালের ২৫ জানুয়ারি মপুক্তি পেয়েছিল সিদ্ধার্থ আনন্দেরই পরিচালনায় পাঠান। যা প্রথম বলিউড সিনেমা ভারতে আয় করেছিল ৫০০ কোটির উপরে। আপাতত কিছুটা এমন আশা রাখা হচ্ছে ফাইটারের উপরেও। আদৌ কি তা হবে!
sacnilk.com-এর প্রথমিক রিপোর্ট অনুসারে মুক্তির দিনে ফাইটার ব্যবসা করল ২২ কোটি।
ফাইটার-এর বক্স অফিস কালেকশন:
একাধিক দেশে নিষিদ্ধ ঘোষণা হয়েছে ফাইটার। যা বিশেষ করে ছাপ ফেলবে ব্যবসায় নিসন্দেহে। কারণ বক্স অফিসের আয়ের একটা বড় অংশ আসে উপসাগরীয় দেশগুলি থেকে। টিকিট বুকিং বন্ধ আছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতেও। যা নিসন্দেহে নির্মাতাদের কপালে ফেলবে ভাঁজ।
সঙ্গে ফাইটারের প্রথম দিনের আয়ও মাঝারি। ২০২৩ সালের হিট পাঠান, জওয়ান, টাইগার ৩, অ্যানিম্যালের মতো সিনেমার থেকে অনেক কম। এমনকী, হৃতিক রোশনের ‘ব্যাং ব্যাং’-ও এর থেকে বড় ওপেনিং পেয়েছিল। আয় করেছিল ২৭ কোটি। অন্য দিকে, ওয়ার ছবির প্রথমদিনের আয় ছিল ৫৩.৩৫ কোটি।
তবে চলচ্চিত্র সমালোচকদের থেকে পজিটিভ রিভিউ-ই পেয়েছে ফাইটার। দর্শকের প্রতিক্রিয়াও টুইটারে বেশ পজিটিভ। আর লোকমুখে ছড়িয়ে পড়া এই রেসপন্স পরপর ৩ দিনের ছুটিতে ব্যবসার অঙ্ক বাড়াবে বলেই আশ্বাস। প্রথম ৪ দিনে আয় ১০০ কোটি পৌঁছতে পারে বলে প্রাথমিক হিসেব ট্রেন্ড অ্যানালিসিস্টদের।
২০০৪ সালের ‘বচনা অ্যায় হাসিনো’ এবং ২০২৩ সালের ব্লকবাস্টার ‘পাঠান’-এর পর সিদ্ধার্থ আনন্দের সঙ্গে দীপিকার তৃতীয় ছবি এটি। হৃতিক রোশনের সঙ্গেও সিদ্ধার্থ আনন্দের এটি তৃতীয় সিনেমাও। তাদের প্রথম সিনেমা ব্যাং ব্যাং, ১৬০ কোটি দিয়ে তৈরি হয়েছিল এবং বিশ্বব্যাপী ৩৪০ কোটি আয় করেছিল। তাদের দ্বিতীয় সহযোগিতা, ওয়ার ১৫০ কোটি টাকা দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল, এতে ছিলেন টাইগার শ্রফও। সেই সিনেমা আয় করে ৪৭১ কোটি।
ফাইটার-এর গল্প:
পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বালাকোট শহরের আশেপাশে থাকা জঙ্গি শিবিরগুলিতে ভারতীয় সেনার পক্ষ থেকে করা হয়েছিল এয়ার স্ট্রাইক। যা আসলে ছিল, জম্মু ও কাশ্মীরে সেনা কনভয়ের উপর হওয়া সন্ত্রাসী হামলার প্রতিশোধ নিতে। সেই হামলায় প্রায় ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ান প্রাণ হারিয়েছিল। সেই ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছিল ভারতকে। সন্ত্রাসী সংগঠন জইশ-ই-মোহাম্মদের (জেএম) বৃহত্তম শিবিরের বিরুদ্ধে বিমান হামলা করা হয়েছিল সেনার তরফে। আর সেই সত্যি ঘটনাই উঠে এসেছে সিদ্ধার্থ আনন্দের সিনেমায়।