৯২ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ‘ভারতরত্ন’ লতা মঙ্গেশকর। মুম্বইয়ের শিবাজি পার্কে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় বর্ষীয়ান গায়িকার। সেখানে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিলেন বলিউড থেকে রাজনৈতিক মহলের বিভিন্ন মহলের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা। মেয়ে শ্বেতা বচ্চনের সঙ্গে এ দিন লতার পেডার রোডের বাড়িতে দেখা গিয়েছিল অমিতাভ বচ্চনকে। এ দিন সন্ধ্যায় মুম্বাইয়ের দাদারের শিবাজি পার্কে অনুষ্ঠিত লতা মঙ্গেশকরের শেষকৃত্য দেখা মেলেনি বিগ বি-এর।
রবিবার শিবাজী পার্কে লতা মঙ্গেশকের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায়। শিল্পীকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পৌঁছেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে-সহ দেশের নানান প্রান্তের হাই-প্রোফাইল ব্যক্তিত্বরা। ছিল প্রায় গোটা বলিউড। আমির, শাহরুখ খান, বিদ্যা বানাল, রণবীর কাপুররা পৌঁছেছিলেন লতা তাই-কে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানাতে। তবে, অমিতাভ বচ্চন শিবাজি পার্কে শেষকৃত্যে যোগ দিতে দেখা যায়নি।
সূত্রের খবর, কোভিড -১৯ প্রোটোকলের কথা মাথায় রেখে এবং নিজের স্বাস্থ্যের সুরক্ষার জন্য অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দেননি বিগ বি। সূত্র অনুয়ায়ী, ‘মিঃ বচ্চন সমবেদনা জানিয়েছেন, লতা মঙ্গেশকরের পরিবারের সঙ্গে তাদের পেডার রোডের বাসভবনে দেখা করেছেন। লতা দিদির পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং পরে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেছেন। কোভিড-১৯ প্রোটোকলের কথা মাথায় রেখে তিনি শিবাজি পার্কে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দেননি, সুরক্ষার জন্যও তার নিজের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে। যেহেতু অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া একটি জনসাধারণের মাঝে সম্পন্ন হয় এবং বিশাল জনসমাগম হতে পারে, মিঃ বচ্চন তাই বাসভবনে পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানোই বেছে নিয়েছিলেন।’
নিজের ব্লগে সুর-সম্রাজ্ঞীর প্রয়াণের খবরে অমিতাভ লেখেন, 'তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছেন....সহস্র শতাব্দীর সেরা স্বর আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন। তাঁর আওয়াজ এখন ধ্বনিত হবে স্বর্গে।' বক্তব্যের শেষে ৭৯ বছর বয়সী তারকার সংযোজন, 'শান্তি এবং নীরবতার জন্য প্রার্থনা রইল।'
উল্লেখ্য, জানুয়ারি মাসের শুরুর দিকে করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন লতা মঙ্গেশকর। প্রায় ২৭ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর রবিবার সকালে প্রয়াত হন তিনি। করোনার সঙ্গে ছিল নিউমোনিয়ার সমস্যাও। চিকিত্সক প্রতীত সামধানি জানান, ‘মাল্টি অর্গান ফেইলিউরের জেরেই মৃত্যু হল লতা মঙ্গেশকরের, কোভিড আক্রান্ত হয়ে প্রায় ২৮ দিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি, করোনা মুক্ত হয়েছিলেন কিন্তু করোনা পরবর্তী জটিলতার জেরে স্তব্ধ হল তাঁর যাত্রা’।