আর কিছুসময়ের মধ্যেই সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু মামলা সংক্রান্ত রিয়া চক্রবর্তীর পিটিশনের ফয়সালা শোনাবে দেশের শীর্ষ আদালত। আজ সকাল ১১ টায় সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেবে এই মামলার তদন্ত কী আদৌ সিবিআই করবে নাকি মুম্বই পুলিশের হাতেই থাকবে এই মামলা।
এর ঠিক কয়েকঘন্টা আগে মুম্বই পুলিশের তরফে এই মামলার সঙ্গে যুক্ত একটা বড়সড় খবর সামনে এল। মঙ্গলবার সুশান্ত সিং রাজপুতের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের ফরেনসিক অডিট রিপোর্ট হাতে পেয়েছে মুম্বই পুলিশ। এমনটা জানিয়েছেন মুম্বই পুলিশের এক শীর্ষ আধিকারিক।
সুশান্তের মৃত্যুর পর তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের ফরেনসিক অডিট রিপোর্ট তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মুম্বই পুলিশ। সেইমতো, গ্র্যান্ট থোর্নটন নামের একটি উপদেষ্টা সংস্থাকে নিয়োগ করা হয়েছিল এই মামলার ফরেনসিক অডিটর হিসাবে।
মুম্বই পুলিশের এক শীর্ষ আধিকারিক এদিন জানান, অডিটারদের তরফে চূড়ান্ত রিপোর্ট মঙ্গলবার হাতে পেয়েছে মুম্বই পুলিশ। সুশান্তের গত পাঁচ বছরের ব্যাঙ্কের লেনদেন খতিয়ে দেখেছে তাঁরা। রিপোর্টে বলা হয়েছে সুশান্তের অ্যাকাউন্ট থেকে তাঁর গার্লফ্রেন্ড রিয়া চক্রবর্তীর অ্যাকাউন্টে কোনওরকম আর্থিক লেনদেন হয়নি। এছাড়াও বলা হয় সুশান্তের আর্থিক পরিস্থিতি ভালো ছিল এবং নিজের কর্মীদের সবরকম প্রয়োজনের খেয়াল রাখতেন তিনি।
জানা গিয়েছে প্রয়োজনীয় সব নথিপত্র কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের সঙ্গেও ভাগ করে নেবে মুম্বই পুলিশ। যাঁরা এই মামলার সঙ্গে যুক্ত আর্থিক তছরুপের বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
গত ২৫ জুলাই বিহারের রাজীব নগর থানায় সুশান্তের আত্মহত্যার জন্য রিয়া চক্রবর্তী ও তাঁর পরিবার এবং ম্যানেজারকে দায়ী করে এফআইআর দায়ের করেন সুশান্তের বাবা কেকে সিং। রিয়ার বিরুদ্ধে সুশান্তের অ্যাকাউন্ট থেকে ১৫ কোটি টাকা গায়েব করবার অভিযোগ এনেছেন তিনি।
পাটনা পুলিশের এফআইআরের ভিত্তিতেই রিয়াসহ মোট ছয়জনের বিরুদ্ধে গত ৩১ জুলাই আর্থিক তছরুপের মামলা দায়ের করে ইডি। এই মামলায় দু'বার রিয়া চক্রবর্তীকে ম্যারাথন জেরাও করেছে ইডি। মঙ্গলবার রিয়ার চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট রীতেশ শাহকে জেরা করে ইডির আধিকারিকরা। সূত্রের খবর রিয়াকে তৃতীয়বারের জন্য ফের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হবে।
গত ১৪ জুন বান্দ্রার কার্টার রোডের অ্যাপার্টমেন্ট থেকে উদ্ধার হয় সুশান্ত সিং রাজপুতের দেহ।