রাহুলের ষড়যন্ত্রে নিজেদের বাড়ি হারিয়েছে খড়ির পরিবার। বিপদের সময় তাদের পাশে নরেন্দ্র এবং মঞ্জিরা। অর্থাৎ ঋদ্ধির দাদু এবং মা। প্রথমে যদিও সপরিবারে মেয়ে শ্বশুরবাড়িতে আশ্রয় নিতে রাজি ছিলেন না অহিন্দ্র। শেষমেশ নিরুপায় হয়েই দু'জনের অনুরোধে রাজি হয় সে।
রাহুল, দ্যুতি এবং পারমিতার যদিও জায়গা হয় না সিংহ রায় বাড়িতে। তা নিয়ে যদিও বিশেষ ভাবিত ছিল না রাহুল। প্রোমোটারকে বাড়ি বিক্রি করে ছ'কোটি টাকা নিয়ে নিশ্চিন্তেই ছিল সে। কিন্তু ঘরে ঢুকতেই দেখল, টাকার ব্যাগ গায়েব! ব্যস, ভয়ে-চিন্তায় প্রায় পাগল-পাগল হাল। তখনই তার এই কাণ্ডের কথা জানতে পারে দ্যুতি ও পারমিতা। বিপদ বুঝে খড়িদের সঙ্গে যেতে চায়। কিন্তু শেষমেশ তা আর হল কোথায়!
এর পরেই শুরু বিবাদ। দ্যুতির দিকে আঙুল তোলে রাহুল। তার সন্দেহ, স্ত্রীর মা-বাবাই চুপচাপ ছ'কোটি টাকা চুরি করে ভিটেমাটি ছেড়ে চলে গিয়েছে। স্বামীর অভিযোগ উড়িয়ে দেয় দ্যুতি। রাহুল যদিও দমেনি। জানিয়ে দেয়, সেই টাকা পাওয়া না গেলে হাঁড়ির হাল হবে তাদের। ছেলের কথা শুনে রাগ সামলাতে পারেনি বিধ্বস্ত পারমিতা। কী করবে ভেবে না পেয়ে মারতে শুরু করে রাহুলকে। মায়ের পেটানিতে রাহুল নাজেহাল। দ্যুতি যদিও বরকে আগলায়নি। বরং ইন্ধন জুগিয়েছে শাশুড়িকে।
অন্য দিকে, সিংহ রায় বাড়িতে এসে উঠেছে ভট্টাচার্য পরিবার। শ্বশুর-শাশুড়ির সাহায্য করতে মরিয়া ঋদ্ধি। এই সংকটময় পরিস্থিতির জন্য সে নিজেকেই দায়ী করছে। হাত ধরে ক্ষমা চায় স্ত্রীর কাছে। খড়ি জানায়, ঋদ্ধির প্রতি তার বিশ্বাস টলেনি। তার পাশেই আছে সে। এর পর স্বামীর মাথার চোটে মলম লাগিয়ে দেয় ভালোবেসে।
ভট্টাচার্য বাড়ি ছেড়ে এক ভাঙাচোরা, পোড়ো বাড়িতে এসে উঠেছে রাহুল, দ্যুতি এবং পারমিতা। এই নতুন আস্তানা তারা পেয়েছে প্রসূনের কৃপায়। এমন জায়গায় আনার জন্য যদিও তাকে কম ধিক্কার শুনতে হয়নি।
উকিলের সঙ্গে কথা চলছে। কিন্তু আলোচনা করেও কোনও সুরাহা মেলেনি। তাই এ বার অন্য পথে হেঁটে কার্যসিদ্ধি করার সিদ্ধান্ত তার। কী ভাবে খড়ির সাহায্যে ভট্টাচার্য বাড়িকে রক্ষা করবে ঋদ্ধি? এখন সেটাই দেখার।