ঝলক দিখলা জা-১১, এই মরসুমের বিজয়ী খেতাব জিতে নিয়েছেন মনীষা রানী। যিনি ওয়াইল্ডকার্ড প্রতিযোগী হিসাবে শোতে প্রবেশ করেছিলেন, এরপরই ইতিহাস তৈরি করেন। তবে শুধু ট্রফি জিতে নেওয়াই নয়, মণীষা ঠিক কত টাকার পুরস্কার জিতেছেন জানেন?
৩০ লক্ষ টাকা পেয়েছেন মণীষা রানি। তাঁর কোরিওগ্রাফার আশুতোষ পাওয়ার পেয়েছেন ১০ লক্ষ টাকার নগদ পুরস্কার। আবু ধাবির ইয়াস দ্বীপে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ট্রফি তুলে দেওয়া হয় মণীষা ও আশুতোষের হাতে। মনীষা ছাড়াও এই ডান্স রিয়েলিটি শোয়ের শীর্ষ চার ফাইনালিস্টের মধ্যে ছিলেন শোয়েব ইব্রাহিম, শ্রীরাম চন্দ্র, অদ্রিজা সিনহা এবং ধনশ্রী ভার্মা। শোয়ে মনীষা ও ধনশ্রী দু'জনেই ওয়াইল্ড কার্ড প্রতিযোগী ছিলেন।
মনীষা ও তাঁর যাত্রা
ঝলক দিখলা জা-১১-এর ট্রফি জেতা প্রসঙ্গে মনীষা বলেন, ' আমার এই যাত্রাটি স্বপ্ন সত্যি হওয়ার চেয়ে কিছু কম ছিল না। আমি বিচারক এবং দর্শকদের ভালবাসা, সমর্থন এবং উৎসাহ পেয়েছি। আমি ঋণী। আমি জানতাম এই অভিজ্ঞতা আমার জীবনকে বদলে দেবে এবং সেটাই সত্যিই হয়েছে। ওয়াইল্ডকার্ড এন্ট্রি হিসাবে, নিজেকে প্রমাণ করতে আমাকে দ্বিগুণ কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছিল। শোয়ে প্রতিটি মুহুর্ত উত্তেজনায় ভরা ছিল। নৃত্যশিল্পী হিসাবেও আমার বিকাশ হয়েছে।
নিজের কোরিওগ্রাফার প্রসঙ্গে আশুতোষের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন মণীষা রানি। বলেন 'আমি আশুতোষের কাছে কৃতজ্ঞ। ও পুরো যাত্রায় উনিই আমায় নতুন দিগন্ত খুলে দেন। প্রতি সপ্তাহে উনি আমার যাত্রা প্রশস্ত করেছেন। আমার নাচের দক্ষতার নতুন দিকগুলি উনিই আবিষ্কার করেছেন। এই জয় শুধু আমার নয়, এই যাত্রা তাঁদের যাঁরা আমাকে বিশ্বাস করেছেন এবং পাশে থেকেছেন।
ঝলক দিখলা জা
শনিবার সনি টেলিভিশনে প্রচারিত হয়েছে ঝলক দিখলা জার ফাইনাল পর্ব। এদিন মার্ডার মুবারক ছবির অভিনেতা - সারা আলি খান, বিজয় ভার্মা এবং সঞ্জয় কাপুর এই শোয়ের অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন। তিনজনেই মঞ্চে উঠে একটা পারফরম্যান্সে প্রতিযোগীদের সঙ্গে যোগ দেন। ঝলক দিখলা জা ১১-এর বিচারকের আসনে ছিলেন ফারাহ খান, আরশাদ ওয়ারসি এবং মালাইকা অরোরা। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করছিলেন গওহর খান ও ঋত্বিক ধনজানি।
প্রথমে অনেকেই ভেবেছিলেন কাজলের বোন, অজয় দেবগনের শ্যালিকা তনিশা মুখোপাধ্যায় বুঝি বা এবার ঝলকের ট্রফি জিতবেন! তবে মাঝপথেই বিদায় নিতে হয় তাঁকে। এর আগে বিগ বস ৭-এর ফাইনালে পৌঁছেও তনিশা হেরে গিয়েছিলেন গওহর খানের কাছে। এবারও তেমনই হল। জিতলেন মণীষা রানি।