খড়কুটোর গল্পে একের পর এক নতুন টুইস্ট। এর জেরেই চলতি সপ্তাহেও বাংলার সেরা ধারাবাহিকের খেতাব ধরে রেখেছেন গুনগুন-সৌজন্যরা। পুটুপিসি-সুকল্যাণের বিয়ে ভেঙেছে আগেই। পরবর্তী সময়ে সুকল্যাণকে ফিরিয়ে দিয়েছে মেঘমালা। কিন্তু মনের মানুষের জন্য মন খারাপ তাঁর, সুকল্যাণেরও একই হাল। কর্তব্য আর ভালোবাসার বেড়াজালে আটকে সে। এবার এই দুই লাভ বাডর্সদের চারহাত এক করবার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন গুনগুন।
ভুলভাল গল্প শুনিয়ে ক্যাফেতে সুকল্যাণ আর মেঘমালার মিটিং ফিক্স করে ফেলেছে গুনগুন। এই অসাধ্যসাধণ গুনগুন ছাড়া আর কেই বা করতে পারে। এই গুরু দায়িত্বটা পটকাই তুলে দিয়েছিল গুনগুনের কাঁধে। কিন্তু শুধু তো মিটিং ফিক্স করলেই হবে না। দেখা করবার মুহূর্তেও পুরো নজরদারি রাখতে হবে। শনিবারের এপিসোডে দেখা গিয়েছে পুটু পিসিকে গুনগুন জানায় ধূম জ্বর সুকল্যাণের। ব্যাস! মন নরম পিসি শাশুড়ির। এরপর ফোন করে সুকল্যানকেও বাগে আনে গুনগুন। রেঁস্তোরায় দুই দীর্ঘদিনের প্রেমিক-প্রেমিকার সাক্ষাত্ যাতে সুস্থভাবে সুসম্পন্ন হয় তার জন্য ছদ্মবেশে সেখানে হাজির গুনগুন-পটকা-ঋজুরা। সবচেয়ে আশ্চর্যের হল এই খুনসুটিতে যোগ দিয়েছে গুনগুনের ‘ক্রেজি’ হ্যাজব্যান্ড বাবিনও।
ছদ্মবেশও যে সে নয়, গুনগুন তো নিজেকে বোরখায় ঢেকে ফেলেছে। মিষ্টি বৌদি নিজেকে লুকিয়েছে অবাঙালিদের মতো করে শাড়ি পরে ঘোমটা টেনে। গোয়েন্দাগিরি করতে বাবিন স্যুট পরে টুপি, সানগ্লাসে লুক পালটেছেন। পটাকার চোখে কালো চশমা, মাথায় টুপি, ঋজু তো আবার পুরো দক্ষিণ ভারতীয়দের মতো সেজেছে। বাড়ির জামাই বাবাজীবন রূপাঞ্জন সাধুবাবার বেশ নিয়েছেন।
তবে এতো আয়োজন যে জন্য, মানে পুটু পিসি আর সুকল্যাণের মনের মিল কি আবার হবে? অভিমান, ইগো- এইগুলো দূরে সরিয়ে শুধু ভালোবাসার ডাকে সারা দিয়ে কি আবার বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন দুজনে? এটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। উত্তরে অপেক্ষায় দর্শক।