বিক্রম ভাট পরিচালিত, আমির খান এবং রানি মুখোপাধ্যায়ের সুপারহিট ছবি ‘গুলাম’-এর ২৫ বছর পূর্ণ হল। ১৯ জুন এই ছবির রজত জয়ন্তী বর্ষ পালিত হল। আর এই বিশেষ দিনেই ‘গুলাম’-এর অন্যতম বিখ্যাত এবং জনপ্রিয় গান ‘আতি কেয়া খান্ডালা’ গানটির একটি অজানা রহস্য ফাঁস করলেন ললিত পণ্ডিত।
৯০ দশকে সবার মুখে মুখে ফেরা এই গানটি যে খোদ মিস্টার পারফেশনিস্ট আমির খানের গাওয়া সে কথা সকলেরই জানা। কিন্তু তাঁকে যে মিস্টার পারফেকশনিস্টের তকমা দেওয়া হয় সেটা যে কতটা সত্যি এবং খাঁটি সেটাই যে আরও একবার ললিত পণ্ডিত তাঁর কথার মাধ্যমে প্রমাণ করলেন।
গানটির বিষয়ে স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে এই সুরকার বলেন, ‘মুকেশ ভাটের ছবি মানেই সেখানে গানের উপর আলাদা জোর দেওয়া হবেই হবে। তাঁর ছবির প্রতিটা গানের আলাদা গুরুত্ব থাকত। আর যেহেতু এই ছবি আমির ছিলেন তাই একটা দারুণ অ্যালবাম বানাতে হতোই। আমি আর যতীন এর আগে বিক্রম ভাটের ছবি ফারেব কাজ করেছিলাম। সেই ছবির প্রতিটা গান ভীষণ জনপ্রিয় হয়েছিল। প্রতিটা একের থেকে আরেকটা বেটার ছিল। এবার গুলাম ছবিতে আগের ছবির সব কিছুর সঙ্গে যুক্ত হয়ে গিয়েছিল আমির খানের মতো একজন তারকা। ফলে চাপ আরও বেশি ছিল।'
এই কথা প্রসঙ্গেই ললিত আরও বলেন, 'আমি এতদিন কাউকে বলিনি কিন্তু জাদু হ্যায় তেরা হি যদি গানটির জন্য আমি দু-রকমের নির্দেশ পেয়েছিলাম। আর আমি চেষ্টা করেছিলাম যাতে দুজনের মন রাখা যায়। একদিকে নির্মাতারা একটা ধামাকেদার রক গান চাইছিলেন। যেহেতু সেই গানটির শুট বাইকে করে হবে তাই। আর আমির বলছিলেন পেহলা নাশা গানটির মতো সফট রোম্যান্টিক কিছু বানাতে। এরপর আমি খানিকটা সফট পিয়ানো পার্ট রাখি, আবার খানিকটা দ্রুত স্পিডের অংশ রাখি গানে। দুজনেরই অবশেষে গানটি ভালো লাগে।'
এরপরই তিনি কথা প্রসঙ্গে এই ছবির সব থেকে বিখ্যাত গান আতি কেয়া খান্ডালার বিষয়ে বলেন, 'আমির তাঁর গাড়িতে করে শুটিংয়ে যাচ্ছিলেন সেদিন। আর গাড়িতে আমি যতীন, বিক্রম তিনজনেই বসা। ফিল্ম সিটি যাওয়ার পথেই আমির সাগর জ্যায়সি গানটি গান গাড়িতে। ওঁ ভীষণই ভালো গান গায়। আর তখন ওঁর গান শুনেই আমাদের মাথায় একটা বুদ্ধি খেলে যায়। আমরা ভাবি ওঁকে দিয়ে এই ছবি একটা গান গাওয়ালে কেমন হয়? আইডিয়াটা যে মন্দ ছিল না সেটা বলাই বাহুল্য। তবে আমির সাফ সাফ বলে দিয়েছিলেন তাঁর শুটিং পছন্দ না হলে তিনি বাদ দিয়ে দেবেন সেটা। এরপরই নীতিন রায়কর এই আতি কেয়া খান্ডালা গানটি লিখে ফেলেন যা আমিরের এই ছবির চরিত্রের সঙ্গে একদম খাপে খাপে মিলে যাবে।' তিনি এরপর আরও বলেন, 'আমরা সকলে গানটি নিয়ে ভীষণ উচ্ছ্বসিত হলেও আমির কিন্তু খুব সচেতন ছিল। এই গানের শুটিং হওয়ার পর প্রথমবার একদম ভালো লাগেনি ওঁর। আর সোজাসুজি বাদ দিয়ে দেন। এরপর আবার শুট করা হয় আর বাকিটা সবার জানা।'