ফেয়ারনেস ক্রিমের বিজ্ঞাপনের জন্য অডিশন দিতে গিয়েছিলেন মান্নারা। তিন রাউন্ড অডিশানে পাশও করেন। শর্ট লিস্টেডেও হন। তবে তারপরই মান্নারার সঙ্গে ঘটে সেই সমস্যাটি। তাঁকে সেই বিজ্ঞাপন থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। সম্প্রতি সিদ্ধার্থ কান্নানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেকথাই শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী।
ঠিক কী বলেছেন মান্নারা?
সাক্ষাৎকারে, মান্নারা বলেন যে তিনি কীভাবে একাধিকবার অডিশন দেওয়ার পরে অফারটি পেয়েছিলেন। তাঁর কথায় ‘আমি বিজ্ঞাপনটির জন্য অডিশন দিয়েছিলাম। আমি প্রথমদফা অডিশন দিয়েছিলাম এবং শর্টলিস্টেড হই। আমাকে আবারও দ্বিতীয় রাউন্ডের জন্য ডাকা হয়। আবারও আমাকে শর্টলিস্টেড করা হয়। শুটিংয়ের একদিন আগে ওরা আমাকে ডাকে। শেষবারের জন্য... লাস্ট কি দো গার্লস বাঁচতি হ্যায়, উনকে আন্দর সিলেকশন করনা হোতা হ্যায় (শেষ দুজন যে দুই মেয়ে শর্টলিস্টেড ছিল, তাঁদের মধ্যে একজনকে বেছে নেওয়ার ছিল)। মুঝে উসকে লিয়ে বুলায়া (এই কারণে ওঁরা আমাকে ডেকেছিল) সেখানেও আমি আবার নির্বাচিত হলাম! তিন রাউন্ডের পর আমার সেটে যাওয়ার কথা ছিল।’
'আমি সেদিন বাড়ি ফিরে কাঁদতে শুরু করি'
মান্নারা আরও বলেন, ‘এরপর যা ঘটেছিল, রাতারাতি আমার কপালে ব্রণ বের হল। ভোর চারটে নাগাদ যখন আমরা মাড আইল্যান্ডে পৌঁছলাম... এই জায়গাটা (কপালের দিকে ইশারা করে) ব্রণে ভর্তি। ওরা কিছু কাট লাইট করার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু লাভ হয়নি। তারপর আমাকে সেট থেকে ফেরত পাঠানো হয়। এটা সত্যিই হতাশাজনক ছিল... । ইয়ে মেরি লাইফ কা সবসে পেহলা রিজেক্টশন (সেটাই ছিল আমার জীবনের প্রথম প্রত্যাখ্যান)।’ অনেকেই বলে তাঁরা ফেয়ারনেস ক্রিমের বিজ্ঞাপন করতে চায় না। তবে আমি সত্যিই এটা করতে চেয়েছিলাম। আর আমি এক্ষেত্রে সত্য়ি কথাই বলছি। আমার মনে আছে আমি বাড়ি গিয়েছি কাঁদতে শুরু করি। আমি এই শুধুমাত্র এই ব্রণের জন্য প্রত্যাখ্যাত হয়েছি।'
প্রসঙ্গত, বিগ বস সিজন ১৭-তে রানার্স আপ হন মান্নারা। রিয়েলিটি শোয়ের ১৭তম আসরের বিজয়ী ঘোষণা করা হয় মুনাওয়ার ফারুকিকে।