‘শেষ হয়েও যেন হইল না শেষ’। শুক্রবার সন্ধ্যেয় শেষবারের মতো টিভির পর্দার হাজির হয়েছিল 'মিঠাই' ও তাঁর মোদক পরিবার। ‘সুখে-দুখে মিষ্টি মুখে’ই শেষ হয়েছে এই ধারাবাহিকের পথচলা। শেষবেলায় আবেগে ভেসেছেন সৌমিতৃষা, আদৃত সহ ধারাবাহিকের অন্যান্য কলাকুশলীরা। তাঁরা ফিরেছিলেন প্রথম দিনের স্মৃতিতে। ঠিক কী বললেন সৌমিতৃষা-আদৃতরা? তাই ঝলক উঠে এসেছে ইনস্টাগ্রাম ভিডিয়োতে।
আদৃত বললেন, ‘ক্যামেরা ওইদিকটা প্যান (ঘোরানো) করলেই দেখতে পাবেন কত ভালোবাসা আমরা পেয়েছি (ভিডিয়োতে দেখা গেল শেষদিনে বহু মানুষের ভিড়)। আমার মনে পড়ে প্রথমদিনের শ্যুটিংয়ের কথা। বড়বাজারের একটা বাড়িতে আমরা প্রমো শ্যুট করেছিলাম। যেখানে মিঠাই মিষ্টি নিয়ে হাজির হয়েছিল, আমাদের সকলের সঙ্গে দেখা হয়। মনে হচ্ছে এই জাস্ট কয়েকদিন আগেই হয়েছে বিষয়টা।’ আদৃতের শেষদিনের কথার সঙ্গেই ফ্ল্যাশব্য়াকে ফিরে দেখা যায় আদৃত বলেছিলেন, ‘খুব শীঘ্রই আমরা ফ্লোরে যাব, মিঠাইয়ের শ্যুটিং শুরু হবে।’
প্রমোয় সৌমিতৃষাকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘এক হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া যৌথ পরিবারের গল্প নিয়ে আসছে মিঠাই…।’ আবার তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘নমস্কার আমি মিঠাই।’ শেষবেলার শ্যুটিংয়ে অভিনেত্রী সৌমিতৃষা কুণ্ডু বলেন, ‘শেষবেলায় এসে পৌঁছেছি, কিন্তু শেষ হয়েও শেষ হয়নি। আমার মনে হয় সারাজীবন আপনাদের মনের মণিকোঠায় থেকে যাব আমরা, আমাদের জীবনের সঙ্গে আপনারা যেভাবে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গিয়েছেন সেটাও ভোলবার নয়।’
অভিনেত্রী ঐয়েন্দ্রিলা সাহা (শ্রীনিপা) বললেন, ‘আজ আমাদের শেষদিন, শুরুর দিনগুলোর কথা আজ খুব মনে পড়ছে।’ অভিনেত্রী দিয়া মুখোপাধ্যায় বললেন, ‘খুব মনে পড়ে যেদিন আমরা প্রমো শ্যুট করেছিলাম। শ্যুটিং করতে করতেই রাজেনদার (পরিচালক রাজেন্দ্রপ্রদাস দাস) সঙ্গে একটা অদ্ভুত বন্ডিং তৈরি হয়ে গিয়েছিল।’ বলেন, ‘অনেক সিরিয়াল করেছি, তবে মিঠাই করিনি, আমার মনে হয় মিঠাই রোজ রোজ হয়না।’ পরিচালক রাজেন্দ্রপ্রসাদ দাস বললেন, ‘সব ধরনের মানুষের গল্পটা পছন্দ হয়েছিল, সেই রকম একটা সিরিয়াল আজ শেষ হচ্ছে।’ সুলতা মোদক ওরফে অভিনেত্রী লোপামুদ্রা সিনহা বললেন, ‘এমনভাবে আমরা জড়িয়ে গিয়েছি এত অল্পদিনে, সত্যিই আজ শেষদিনটাই এসে একটা চাপা দুঃখ আমাদের কাজ করছে।’
নির্মাতারা জানান, বহুদূর থেকে মিঠাই-এর শেষদিনের শ্যুটিং দেখতে লোক এসেছে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এমনকি বাংলাদেশ থেকেও। ধারাবাহিকের শেষদিনের শ্যুটিংয়ে দেখাগেল ধারাবাহিকের অভিনেতা, কলাকুশলীদের ঘিরে বহু অনুরাগী, দর্শকদের ভিড়। অভিনেতা-অভিনেত্রীরাও চোখে জল নিয়ে সকলের সেলফির আবদার মেটালেন, দিলেন অটোগ্রাফ।