বিয়ের আগে সকলের লিভ-ইন সম্পর্ক করার চেষ্টা করা উচিত বলে মন্তব্যে করেছিলেন জিনাত আমন দিনকয়েক আগেই। আর তা নিয়ে এবার একসময়ের সহকর্মীকে তুলোধনা করলেন মুমতাজ। এক সাক্ষাৎকারে মুমতাজ দাবি করেন, সম্পর্কের ক্ষেত্রে পরামর্শ নেওয়ার জন্য জিনাতই হওয়া উচিৎ সর্বশেষ ব্যক্তি, যার নিজের বিবাহিত জীবনই আসলে খুব একটা সহজ ছিল না। ১৯৭১ সালে দেব আনন্দের 'হরে রাম হরে কৃষ্ণ' ছবিতে একসঙ্গে অভিনয় করেছিলেন এই দুই অভিনেতা।
মুমতাজ বলেন, ‘জিনাত কী পরামর্শ দিচ্ছে, সে বিষয়ে ওর সতর্ক হওয়া উচিত। সে হঠাৎ করেই সোশ্যাল মিডিয়ার এই বিশাল জনপ্রিয়তায় চলে এসেছে এবং আমি বুঝতে পারি যে আন্টিদর মতো শোনাচ্ছে তার উত্তেজনা। কিন্তু ফলোয়ার্স বাড়ানোর জন্য, আমাদের নৈতিক মূল্যবোধের পরিপন্থী উপদেশ দেওয়া আপনার উচিত নয়।’
‘উদাহরণস্বরূপ জিনাতের কথাই ধরুন... বিয়ের আগে তিনি মাজহার খানকে বহু বছর ধরে চিনতেন। তার বিয়ে ছিল এক জীবন্ত নরক। সম্পর্কের বিষয়ে উপদেশ দেওয়ার শেষ ব্যক্তি হওয়া উচিত তিনি’, যোগ করেন মমতাজ।
জিনাতের বিবাহিত জীবন কেমন ছিল?
জিনাত ১৯৮৫ সালে মাজহারকে বিয়ে করেন। ১৯৯৮ সালে তিনি মারা যান। ওই দাম্পত্য জীবন থেকে তার দুই ছেলে সন্তান রয়েছে। ১৯৯৯ সালে সিমি গরেওয়ালের জনপ্রিয় চ্যাট শো-তে জিনাত বলেছিলেন, ‘বিয়ের প্রথম বছরেই আমি বুঝতে পারি যে, আমি একটি বিশাল ভুল করেছি, তবে আমি সেখানে মানিয়ে নেওয়ার এবং এটি কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আমি চেষ্টা করেছি আরও ১২ বছর একসঙ্গে থাকার। সুড়ঙ্গের শেষে আমার জন্য কোনো আলো ছিল না। এই ১২ বছরে এক মুহূর্তের জন্য জীবনে সুখ বা আনন্দ ছিল না। তারপরও আমি চেষ্টা করেছি সম্পর্কটা টিকিয়ে রাখতে।’
‘সহবাস’ প্রসঙ্গে কী ছিল জিনাতের বক্তব্য?
দিনকয়েক আগে একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে জিনাত লেখেন, ‘কমেন্ট সেকশনে আমাকে একজন সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন করে। আমার থেকে রিলেশনশিপ টিপস চায়। সেই প্রেক্ষিতেই আমি নিজের মত শেয়ার করছি। এটা আমার একেবারে ব্যক্তিগত মত। আমি মনে করি, বিয়ের আগে সকলের লিভ-ইনে থাকা উচিত। কেউ যদি প্রেমের সম্পর্কে থাকেন আর বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন, তাহলেও অবশ্যই তাঁদের এক ছাদের নীচে থাকা উচিত কিছুদিন। আমি আমার সন্তানদেরকেও সেই উপদেশই দিয়েছি। এটার বিশেষ যুক্তি রয়েছে আমার কাছে। দুজন মানুষ ও তাদের পরিবার যখন এক সুতোয় বাঁধা পড়তে চলেছে, আইনিভাবে সম্মতি নিচ্ছে, তার আগে বিচার করে দেখে নেওয়া উচিত একে-অপরের সঙ্গে কতটা কমফোর্টেবল।’