বৃহস্পতিবার ঘোষিত হল জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। যে কোনও শিল্পীর জীবনের স্বপ্ন জাতীয় মঞ্চে এই সম্মান পাওয়ার। ৬৯তম জাতীয় পুরস্কারের মঞ্চে সেরা অভিনেতার দৌড়ে সকলে পিছনে ফেললেন ‘পুষ্পা’ আল্লু অর্জুন। আরআরআর-এর দুই তারকা জুনিয়র এনটিআর এবং রামচরণকে পিছনে ফেলেছেন এই দক্ষিণী তারকা। প্রথম তেলুগু অভিনেতা হিসাবে জাতীয় মঞ্চে সেরা অভিনেতার সম্মান, আবেগে ভাসলেন তারকা।
‘পুষ্পা’ টিমের সঙ্গে জয়ের আনন্দ ভাগ করে নিতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন এই রাফ অ্যান্ড টাফ হিরো। পরিচালক সুকুমারকে জড়িয়ে ধরতে দেখা গেল তাঁকে। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে মুক্তি পাওয়া এই ছবি বক্স অফিস চমক দেখিয়েছে। চন্দনকাঠের চোরা চালান করে ফুলে ফেঁপে ওঠা স্মাগলার পুষ্পারাজের গল্প উঠে এসেছে এই ছবিতে। শ্রীভাল্লি-পুষ্পার প্রেম কাহানিও ছিল এই ছবির অন্যতম ইউএসপি। আল্লু অর্জুনকে শুভেচ্ছা জানান জুনিয়র এনটিআর। হার স্বীকার করে তিনি লেখেন- ‘পুষ্পার জন্য যে সাফল্য তুমি পাচ্ছো, তুমি তার যোগ্য, অনেক শুভেচ্ছা’। জবাবে আল্লু লেখেন- ‘অসংখ্য ধন্যবাদ বাভা মন থেকে এই শুভেচ্ছার জন্য, আমি ধন্য, আমি আপ্লুত’।
জাতীয় মঞ্চে সেরা অভিনেত্রীর দৌড়ে এবার হার মানতে হয়েছে ‘থালাইভি’ কঙ্গনাকে। ‘গঙ্গুবাই’ আলিয়ার সঙ্গে এই পুরস্কার ভাগ করে নিয়েছেন কৃতি শ্যানন। লক্ষ্মণ উতরেকরের মিমি ছবির জন্য এই সম্মান পেয়েছেন অভিনেত্রী। ছবিতে সারোগেট মাদারের চরিত্রে দেখা মিলেছিল কৃতির। আলিয়ার সঙ্গে এই সম্মান ভাগ নিতে পেরে গর্বিত অভিনেত্রী। তিনি লেখেন, ‘অভিনন্দন আলিয়া! তুমি এই সম্মানের যোগ্য! আমি তোমার ভক্ত, খুব উত্তেজিত এই পুরস্কার তোমার সঙ্গে ভাগ করে নিতে পেরে।’
কৃতির এই ভালোবাসার জবাবে আলিয়া লেখেন- ‘আমার মনে আছ যেদিন মিমি দেখি তোমায় মেসেজ করেছিলাম। খুব সৎ প্রচেষ্টা, দুর্দান্ত পারফরম্যান্স… আমি খুব কেঁদেছিলাম ওইদিন। তুমি এই সম্মানের যোগ্য… এইভাবেই জ্বলে ওঠো। এই বিশ্ব তোমার…’। গঙ্গুবাই কাথিয়াওয়াড়ির জন্য পাওয়া এই সম্মান নিজের অনুরাগীদের পাশাপাশি সঞ্জয় লীলা বনশালি ও নিজের পরিবারকে উৎসর্গ করেছেন আলিয়া। তাঁর কথায়, ‘তোমাদের ছাড়া আমি অচল, এইভাবেই তোমাদের মনোরঞ্জন করে যেতে চাই’।
পরিচালক আর মাধবনের প্রথম ছবি ‘রকেট্রি: দ্য নম্বি ইফেক্ট’। এই ছবির জন্য সর্বস্ব উজার করে দিয়েছেন অভিনেতা, বিক্রি করেছেন বাড়িও। এদিন জাতীয় পুরস্কার জয়ের পর স্বস্তির হাসি তাঁর মুখে।
ইসরোর প্রাক্তন বিজ্ঞানী ও এরোস্পেস ইঞ্জিনিয়ার নম্বি নারায়ণনের সাফল্যের পাশাপাশি তাঁর উপর চরবৃত্তির অভিযোগের প্রেক্ষাপটে তৈরি এই ছবি। নাম ভূমিকায় স্বয়ং মাধবন। পুরস্কার জিতে বাবা-মা ও নম্বি নারায়ণনকে সেটি উৎসর্গ করলেন মাধবন।