ইসলামোফোবিয়া ছড়ানোর অভিযোগ রয়েছে ২০২২ সালের সিনেমা ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’-এর উপরে। তবে সেই ছবিই এবার জিতে নিল ‘জাতীয় সংহতি রক্ষায় সেরা ছবি’-র সম্মান। তাও আবার জাতীয় পুরস্কারের মঞ্চ থেকে। আর ছবির এই সাফল্যে প্রতিক্রিয়া জানালেন পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী।
৬৯ তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২৩-এ বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছে 'দ্য কাশ্মীর ফাইলস'। নার্গিস দত্ত সেরা চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতেছে জাতীয় সংহতি রক্ষার জন্য। বিবেক জানালেন, ছবির এই সাফল্যে তিনি ভীষণ গর্বিত। বর্তমানে রয়েছেন আমেরিকায়। সেখান থেকেই মিডিয়ায় ভাগ করে নিলেন নিজের আনন্দবার্তা।
বিবেক জানালেন, ভারতের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়ে তিনি সত্যিই গর্বিত। তিনি সবসময় বিশ্বাস করতেন, 'দ্য কাশ্মীর ফাইলস' কেবল একটি সিনেমা নয়, বরং সেই সমস্ত মানুষের প্রতিনিধিত্ব করে যারা ১৯৯০ সালে নিজের মাটি ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল। এই সাফল্য তিনি উৎসর্গ করেছেন ভারতের সেই সব মানুষদের যারা সন্ত্রাসবাদের শিকার। বিশেষ করে উপত্যকা ছাড়া সেই কাশ্মীরি পণ্ডিতদের।
'দ্য কাশ্মীর ফাইলস' অভিনেতা পল্লবী যোশিও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের ৬৯তম সংস্করণে সেরা মহিলা পার্শ্ব অভিনেত্রী হিসেবে সম্মানিত হয়েছেন।
দ্য কাশ্মীর ফাইলস লিখেছেন ও পরিচালনা করেছেন বিবেক অগ্নিহোত্রী। ১৯৯০ সালে ভারত-শাসিত কাশ্মীর থেকে কাশ্মীরি হিন্দুদের নির্বাসিত করা নিয়ে এই সিনেমা। হাজার হাজার কাশ্মীরি পণ্ডিতদের গণহত্যা দেখানো হয় এই সিনেমায়। 'দ্য কাশ্মীর ফাইলস'-এ অভিনয় করেছেন মিঠুন চক্রবর্তী, অনুপম খের, দর্শন কুমার এবং পল্লবী জোশী।
২০২২ সালের তৃতীয়-সর্বোচ্চ আয়কারী হিন্দি চলচ্চিত্র ছিল বিবেক অগ্নিহোত্রীর এই সিনেমা। । ২৫ কোটি বাজেটের ছবি আয় করে ৩৪০ কোটি টাকা। এদিকে যখন নরেন্দ্র মোদী, যোগী আদিত্যনাথের মতো বিজেপি নেতারা যখন ছবির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছিলেন, তখন এটিকে ‘প্রোপাগন্ডা’ সিনেমার তকমা দেয় একটা অংশ। যদিও বরাবরই বিবেকের দাবি ছিল, তিনি শধু সত্য ঘটনা তুলে ধরেছেন। কারণ তিনি মনে করেন, দেশের প্রতিটা মানুষের দেশের এই ‘নিন্দনীয়’ ইতিহাস জানা উচিত।