প্রেম করছে ‘বাবুউউ’র মা! দিদি নম্বর ১-এর মঞ্চে ফাঁস হল অভিনেত্রী অরিজিতা মুখোপাধ্যায়ের সিক্রেট প্রেমিকের কথা। হাটে হাঁড়ি ভাঙলেন তাঁর ‘নিম ফুলের মধু’ পরিবারের দুই সদস্যা। অরিজিতার বিয়ের প্রসঙ্গ সামনে আসতেই দিদির সামনে সবটা বলে দিল মৌমিতা! বেজায় অপ্রস্তুত পর্ণার দজ্জাল শাশুড়িমা।
ছেলে-বউমার রোম্যান্সে হামেশাই ব্যাগড়া দেন তিনি, অথচ রিল লাইফের দত্ত বাড়ির ছোট বউ বাস্তবে বেজায় রোম্যান্টিক তা কিন্তু সকলের জানা নয়। পর্দায় শাশুড়ি মায়ের চরিত্রে অভিনয় করলেও আপতত ছাদনা তলায় বসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন অভিনেত্রী অরিজিতা মুখোপাধ্যায়। কেরিয়ারে এখন থিতু হয়েছেন, আর ব্যক্তিগত জীবনে? রচনা প্রশ্ন করতেই খুনসুটি শুরু মৌমিতা (মানসী সেনগুপ্ত) আর ললিতা (তনুশ্রী গোস্বামী)। একসুরে বলে ওঠেন- ‘হ্যালো… এলো… এলো’। তারপরই মেজো কাকির উদ্দেশে মৌমিতা বলেন, ‘বাবুউউর মা কি প্রেম করছে? ও মেজোকাকি বলো'। সহ-অভিনেত্রীদের চাপে পড়ে ভারী অপ্রস্তুত অরিজিতা। বয়ফ্রেন্ডের নাম জানতে চান রচনা। পালটা বাবুউউ-র মা বলে বসেন, ‘কেউ নেই। ও ব্রেকআপ হয়ে গেছে… ওরা বানিয়ে বানিয়ে বলছে’।
এরপরেও থামেননি মানসী। মেজোকাকির সিক্রেট লাভারকে নিয়ে মৌমিতা ইঙ্গিত দেয় অরিজিতার মা-ও সবটা জানেন। পর্ণা-র বড় জা-কে বলতে শোনা গেল, ‘এই তো বিয়ে বাড়িতে মাকে (অরিজিতার মা) গাড়িতে তুলে দিল। উনি বলললেন, ছেলেটা কে মুমু (অরিজিতার ডাক নাম)?….. খেয়েছেন কাকিমা আপনি?’ মানসীর কথায় তালে তাল মেলান তাঁর অনস্ক্রিন শাশুড়ি। পর্দায় শাশুড়ি-বউমার মিল না থাকলেও এই মামলায় একসুরে কথা বললেন তাঁরা।
বাবুউউ-কে নিয়ে পজেসিভ হলেও প্রেমিককে নিয়ে নাকি একদমই পজেসিভ নন অরিজিতা। বললেন, ‘আমি কর্তৃত্বে বিশ্বাস করি না।’ প্রেমিকের নাম প্রকাশ্যে আনতে অনীহা অরিজিতার, তাই খোঁচা দিয়ে রচনা বলেন- ‘ও হয়ত সিওর নয়। হয়ত পালটে যাবে তাই নামটা বলছে না’। তাঁর জীবনে বসন্ত অনেকবার এসেছে এ কথা জানিয়ে মৌমিতাকে ‘দেখে নেওয়া’র হুমকি দিলেন অভিনেত্রী।
তবে অরিজিতার লাভ লাইফের পাশাপাশি এদিন কথা হল তাঁদের মেকআপ রুমের ঝগড়া নিয়েও। মানসীর সঙ্গে নাকি প্রায়শই ঝগড়া লেগে যায় অরিজিতার। স্বামী-স্ত্রীর মতো ছোটখাটো বিষয়ে ঝামেলা লাগে দুজনের। কথা বন্ধ থাকলেও খাবার দেওয়া-নেওয়া চলে, ভাববাচ্যে কথা বলেন তাঁরা। মেজো কাকির সঙ্গে ঝগড়া হলে ভাব করানোর দায়ভার থাকে তনুশ্রীর উপর।
এত কম বয়সেই মায়ের চরিত্রে অভিনয় করার প্রসঙ্গে রচনাকে অরিজিতা বলেন, ‘রুবেল বোধহয় আমার চেয়ে একটু (বয়সে) বড় (হাসি)। বেশিরভাগ মানুষ বিশ্বাস করেন, আমার বয়স ওটাই। যারা সাহস করে জিগ্গেস করেন, তারা এসে বলেন- আপনাকে ওতোটা বয়স দেখতে লাগে কী করে? আমি বলি- ওমা! ওটা তো চরিত্র’। পাশাপাশি বাবুউউ-র মা এতটাই জনপ্রিয় যে লোকে আজকাল অরিজিতা বা কৃষ্ণা দত্ত নয়, রাস্তাঘাটে বাবুউউ-র মা বলেই ডাকে অরিজিতাকে।