বাঙালি চিরকালই সিনেমাপ্রেমী। আর ফিল্ম জগতে বাঙালির কাছে অন্যতম আইকন নিঃসন্দেহে সত্যজিৎ রায়। তিনি এক এবং অদ্বিতীয়। বাংলা তথা ভারতীয় চলচ্চিত্রের প্রতি তাঁর অবদান অনস্বীকার্য, যা যুগের পর যুগ ধরে মনে রেখেছে মানুষ এবং মনেও রাখবে। এবার তাঁর জনপ্রিয় কাহিনি ‘ভূতো’ স্থান পাচ্ছে নাটকের মঞ্চে। উপস্থাপনায় ‘কাব্যকলা মনন ও দেবান্তরা আর্টস’।
নাটকের মঞ্চে ‘ভূতো’
২২ এপ্রিল, সন্ধ্যা ৭টায় গিরিশ মঞ্চে 'কাব্যকলা মনন' এবার মঞ্চস্থ করতে চলেছে সত্যজিৎ রায়ের জনপ্রিয় কাহিনি অবলম্বনে তৈরি নাটক ‘ভূতো’। গা ছমছমে এই কাহিনিতে ভেন্ট্রিলোকুইজম শিল্পকলাকে কেন্দ্র করে নবীন ও প্রবীণ দুজন শিল্পীর অস্তিত্বের লড়াইকে তুলে ধরা হবে সম্পূর্ণ নতুন ধরনের স্টেজক্রাফটের মাধ্যমে। মাত্র পাঁচ-ছয় বছর ধরে বাংলা নাট্যমঞ্চের জগতে পা রেখেছে ‘কাব্যকলা মনন ও দেবান্তরা আর্টস’ দল। এই স্বল্প সময়ের মধ্যেই দল সাহিত্যভিত্তিক কিছু ব্যতিক্রমী ও সম্পূর্ণ ভিন্নমাত্রিক নাট্য প্রযোজনার মাধ্যমে নজর কেড়েছে শহরের নাট্যগুণীজনেদের।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানি শিল্পীদের ভারতে কাজের সুযোগ দেওয়া উচিত, ‘ওরা প্রতিভাবান’, বললেন মুমতাজ
নাটক সম্পর্কে
‘ভূতো’ নাটকে মূল চরিত্রে অভিনয় করছেন জনপ্রিয় ভেন্ট্রিলোকুইস্ট পলাশ অধিকারী এবং অভিজিৎ ঘোষ। নাটকটির পরিচালনা করেছেন নির্দেশক অভিনেতা সুমিত কুমার রায়। নির্মাতাদের তরফে জানানো হয়েছে, এই নাটকটি সম্পর্কে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন সত্যজিৎ-পুত্র পরিচালক সন্দীপ রায়।
আরও পড়ুন: প্রথমবার হিন্দিতে রেডিও সম্প্রচার শুরু কুয়েতে, প্রশংসা করলেন ভারতীয় দূতাবাস যোগাযোগ মন্ত্রক
মঞ্চস্থ হবে গিরিশ মঞ্চে
নাটকটি মঞ্চস্থ করার জন্য় অনুমতিও দিয়েছেন তিনি। প্রথমে এই নাটক 'অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস'-এ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বাতানুকূল ব্যবস্থা খারাপ থাকায় স্থান পরিবর্তন করা হয়েছে। এই নাটক মঞ্চস্থ করা হবে গিরিশ মঞ্চে।
আরও পড়ুন: BFF অয়নের সঙ্গে লেন্সবন্দি রণবীর, 'রামায়ণ'-এর জন্য ধরা দিলেন একেবারে ক্লিন শেভ লুকে
সত্যজিৎ রায় সম্পর্কে
আধুনিক বাংলা সংস্কৃতি জগতের একটি বিরল প্রতিভা সত্যজিৎ রায়। চলচ্চিত্র পরিচালনায় তাঁর অসাধারণ নৈপুণ্য এবং মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি বাংলা চলচ্চিত্রে একটি নতুন মাত্রা তৈরি করেছিল।
হয়ত এটা বললে ভুল হবে না যে শুধুমাত্র সত্যজিৎ রায়ের কারণেই আজ বাংলা ভাষায় তৈরি চলচ্চিত্র পৃথিবী জুড়ে সম্মানের সঙ্গে বিবেচনা করা হয়। অনেকেই বলেন সত্যজিৎ রায় তাঁর ছবির মাধ্যমে বাংলার সমাজ ও সংস্কৃতিকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরেছিলেন। চলচ্চিত্র নির্মাতা, চিত্রনাট্যকার, শিল্প নির্দেশক, সঙ্গীত পরিচালক এবং লেখক সত্যজিৎ রায় বিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাতাদের একজন হিসেবে বিশ্বে পরিচিতি লাভ করেছিলেন।