বউয়ের বিরুদ্ধে থানায় গেলেন অভিনেতা নীতিশ ভরদ্বাজ। স্ত্রীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ পর্দার শ্রীকৃষ্ণ। স্ত্রীর মানসিক অত্যাচার সইতে না পেরে বাধ্য হয়েই থানায় ছুটলেন অভিনেতা। নীতিশ ভরদ্বাজের স্ত্রী, স্মিতা গাটে পেশায় উচ্চ পদস্থ সরকারি আধিকারিক। মধ্যপ্রদেশের মানবাধিকার দফতরের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব তিনি। এক সর্বভারতীয় মিডিয়া সূত্রে খবর, বুধবার নীতিশ ভোপালের পুলিশ কমিশনারের কাছে স্ত্রীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
বিচ্ছিন্না স্ত্রী স্মিতা গাটে (Smita Gate) তাঁকে নানাভাবে মানসিক অত্যাচার করছেন বলে অভিযোগ অভিনেতার। এখানেই তাঁর যন্ত্রণার শেষ নয়! দুই সন্তানের সঙ্গেও কোনওভাবেই যোগাযোগ করতে দিচ্ছে না স্ত্রী, অভিযোগ তাঁর। ভোপালের পুলিশ কমিশনার হরিনারায়ণচারী মিশ্রর কাছে সাহায্য চেয়ে চিঠি লিখেছেন অভিনেতা, তাঁর কাতর আর্জি দুই মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হোক তাঁকে।
২০০৯ সালে মধ্যপ্রদেশের আইএএস স্মিতার সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন নীতিশ ভরদ্বাজ। এটা ছিল অভিনেতার দ্বিতীয় বিয়ে। তাঁদের দুই যমজ কন্যাসন্তান দিব্য়াণী এবং শিবরানজানি। অভিনেতার অভিযোগ বাবার থেকে সন্তানদের দূরে রাখতে নিয়মিত অন্তরালে মেয়েদের স্কুল পরিবর্তন করছেন স্মিতা। এর জেরেই মানসিক যন্ত্রণায় জেরবার তিনি।
সূত্রের খবর, পুলিশ কমিশনার এই বিষয়টি নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন অভিনেতা। জানিয়েছেন, দুই মেয়ের সঙ্গে অবশ্যই সাক্ষাৎ করতে পারবেন তিনি। নীতিশের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ডিএসপি শালিনী দীক্ষিতকে নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রেম করে বিয়ে, তবে দাম্পত্য টেকেনি ৭ বছর! ২০১৯ সালেই ছাদ আলাদা হয় দুজনের। বিয়ের দীর্ঘ ১২ বছর ডিভোর্সের মামলা রুজু করেন স্মিতা, তবে এখনও আইনি সিলমোহর পড়েনি বিচ্ছেদে। এর আগে টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে অভিনেতা জানিয়েছেন, ‘অনেক সয় বিচ্ছেদ মৃত্যুর চেয়েও বেশি যন্ত্রণাদায়ক হয় কারণ তোমাকে পঙ্গু হয়ে বেঁচে থাকতে হয়’।
নীতিশ আরও জানান, একটা বিয়ে ভাঙার পিছনে একাধিক কারণ থাকে। তবে এতে সবচেয়ে বেশি কষ্ট পায় সন্তানরা। বিআর চোপড়ার মহাভারতে শ্রীকৃষ্ণের ভূমিকায় অভিনয় করার জন্যই সবচেয়ে বেশি পরিচিত নীতিশ ভরদ্বাজ। সারা আলি খানের ডেবিউ সিনেমা ‘কেদারনাথ’-এ অভিনয় করেছিলেন তিনি। একটি ওয়েব সিরিজে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গুরুর ভূমিকাতেও তাঁকে দেখা গিয়েছিল। সঙ্গে হৃতিক রোশনের সাথে ‘মহেঞ্জোদাড়ো’তেও অভিনয় করেছেন। এছাড়া বেশ কিছু মারাঠি সিনেমায় তাঁকে দেখা দেখা গিয়েছে।