বলিউড থেকে হলিউড, পারিশ্রমিক নিয়ে বৈষম্যের অভিযোগ সর্বত্র। বলিউডে অভিনেত্রীরা প্রায়শই অভিযোগ করেন, অভিনেতাদের তুলনায় তাঁরা অনেকটাই কম পরিশ্রমিক পান। তবে কি জানেন ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’র শ্যুটিংয়ে এমনটা ঘটেনি। ছবিতে সলমন খানের উপস্থিতি সত্ত্বেও বেশি পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন ভাগ্যশ্রী। সম্প্রতি সেকথাই ফাঁস করেছেন অভিনেত্রী পারভিন দস্তুর ইরানি।
৩০ বছর আগে মুক্তি পেয়েছিলন সুপারহিট ছবি ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’। ছবিতে 'সীমা'র চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন পারভিন। তিনি সাক্ষাৎকারে জানান, ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’কে তিনি পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন ২৫ হাজার টাকা। পারভিন বলেন, ‘জীবনে আমার প্রথম পারিশ্রমিক ছিল ৭৫ টাকা। তারপর যখন কোম্পাকোলার বিজ্ঞাপন করি, তখন পারিশ্রমিক বেড়ে একলাফে হয়ে যায় ১৫০০ টাকা। আর ম্যায়নে পেয়ার কিয়াতে সবথেকে বেশি পারিশ্রমিক দেওয়া হয়েছিল ভাগ্যশ্রীকে, আর সেটা ছিল ১,৫০,০০০ টাকা। যা শুনে আমরা সকলেই অবাক ছিলাম। আর সলমন খানকে দেওয়া হয়েছিল ৭৫ হাজার টাকা।’
আরও পড়ুন-এবার হিন্দি ছবিতে, ভাষা নিয়ে টেনশনে মধুমিতা সরকার! নাম 'ফর্জ', বিপরীতে কে?
আরও পড়ুন-‘টাকা দিলে কাজ পাবেন’! অনিন্দিতার ভুয়ো প্রোফাইল থেকে প্রতারণা, পুলিশে গেলেন অভিনেত্রী
আরও পড়ুন-'ম্যাকবেথ'-এর ছাঁচে নারীকেন্দ্রীক ছবি, 'মায়া' মিথিলার অঙ্গুলি হেলনে গল্পের পথ চলা
যদিও এর আগে সলমন এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন তিনি ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’ ছবির জন্য প্রথমে আমার পারিশ্রমিক ৩১ হাজার টাকা করা হয়েছিল, পরে তা বাড়িয়ে ৭৫ হাজার টাকা করা হয়।
তবে ছবির প্রযোজক ও নির্মাতাদের প্রশংসা করে অভিনেত্রী পারভিন দস্তুর ইরানি বলেন, ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া- ছবির সেট আপ ছিল বেশ শালীন। মেকআপ রুম, খাবার, আমরা যা চেয়েছি, সব পেয়েছি। হয়তো ওরাঁ অনেক টাকা দিতে পারেননি, তবে কাজ বেশ সুন্দরভাবে হয়েছিল। আমাকে বলা হয়েছিল যে আমার বেতন একপ্রকার রাজকীয় অঙ্ক। কারণ, এক্ষেত্রে ওরা ১হাজার বা ২ হাজার টাকা দিতেন।' প্রসঙ্গত, ম্যায়নে পেয়ার কিয়া প্রযোজনা করেছিলেন রাজশ্রী প্রোডাকশন। সুরজ বরজাতিয়া পরিচালিত, এই ছবি ছিল ব্লকবাস্টার।’
শোনা যায়, শুধু ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’ নয়, 'হাম আপকে হ্যায় কওন' ছবিতে সলমন খানের থেকে বেশি পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন মাধুরী দীক্ষিত।