ডেবিউ সিনেমা ‘কহোনা প্যয়ার হ্যায়’ দিয়ে ২০০০ সালে রাতারাতি খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছে গিয়েছিলেন হৃতিক রোশন। ছবি এত ভালো ব্যবসা করে যে হৃতিককে নিয়ে সিনেমা বানানোর হিড়িক পড়ে যায় বলিউডে। ডেবিউর বছরই আরও দুটো ছবি মুক্তি পায় হৃতিক রোশনকে নিয়ে ফিজা, মিশন কাশ্মীর। তবে একের পর এক হৃতিকের ছবি যখন ভরাডুবির মুখে পড়তে শুরু করে দেয়, সেই সময় কেরিয়ারের মোড় ঘোরায় বাবা রাকেশ রোশনের ২০০৩ সালের ছবি ‘কোই মিল গ্যয়া’।
সম্প্রতি এই ছবি ২০ বছর সম্পূর্ণ করেছে। আর এই নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে মুখ খোলেন পাপা রাকেশ রোশন। প্রথম সিনেমা হিটের পর পরপর ফ্লপ দিয়ে যাওয়ার কারণে সেই সময় হৃতিকের নামের সঙ্গে অনেকেই সেঁটে দিয়েছিলেন ‘ওয়ান ফিল্ম ওয়ান্ডার’ তকমা। বাবা হিসেবে সেই সময় ছেলের কেরিয়ার নিয়ে কতটা চিন্তিত ছিলেন তিনি? রাকেশ জানান, ‘একটা ভয় তো ছিলই। কিন্তু আমি যখন হৃতিককে নিয়ে প্রথম শটটা নেই, বুঝে গিয়েছিলাম এটা হিট হবেই। দুর্ভাগ্যবশত কহোনা প্যায়র হ্যায়ের পরে আর কোই মিল গ্যয়া-র আগে হৃতিকের কোনও ছবি চলেনি। আমাদের ছবির দু মাস আগে যেটা মুক্তি পায় ওর ম্যায় প্রেম কি দিওয়ানি হু সেটাও ফ্লপ। আমার একবার মনে হয়েছিল হতে পারে কোই মিল গ্যয়া দেখলে হলে কেউ এলই না…’
সেই সময়ের কথা মনে করে রাকেশ জানান, ‘‘আমি আমার সমস্ত ডিস্ট্রিবিউটরদের বলেছিলাম, ‘দেখো এটা আর পাঁচটা কমার্শিয়াল ছবির মতো না। তাই সকাল ৯টার শো রেখো না।’ করণ অর্জুন, কোয়লা আর কোই মিল গ্যয়া-র ক্ষেত্রে আমরা সকাল ৬টার শো রেখেছিলাম। ওরা আমাকে ঘুম থেকে তুলে খবর দিত ছবি হাউজফুল হয়েছে। আমি ওদের থেকে লিখিত নিয়েছিলাম ওরা কোনও ভোরবেলার শো রাখবে না। আমি বলেছিলেম, ‘মুক্তি দিও না সকালে, এরকম না হয় সকাল ৯টায় সব জায়গায় খারাপ খবর ছড়িয়ে যায়।’ আমাকে আমার ডিস্ট্রিবিউটররা বলেছিল ‘আপনি যদি এত টেনশন করেন, তাহলে আমাদের কী হবে’।’’
রাকেশ জানান, ডিস্ট্রিবিউটররা তাঁকে না জানিয়েই এরপর সকাল ৬টায় মুক্তি দিয়ে দেয় সিনেমাখানা। ফোন করে বলে, ‘ছবি হিট করে গেছে স্যার। আর কী লেখাপড়ার কথা বলছেন।’ রাকেশ আরও জানান, ডিস্ট্রিবিউটরদের জন্য রাখা স্ক্রিনিংয়ের সময়তেও এভাবেই টেনশনে ছিলেন তিনি। তাঁর মনে ভয় ছিল অন্তত ৩-৪ জন মাঝপথেই বেরিয়ে আসবে। কিন্তু তাঁকে অবাক করে সবার প্রথম বের হন পঞ্জাবের ডিস্ট্রিবিউটর। আর এসে তাঁকে বলেন, ‘স্যার কী দুর্দান্ত ছবি বানিয়েছেন।’ রাকেশ বুঝে যান, পঞ্জাবি ডিস্ট্রিবিউটরের ভালো লেগেছে যখন, সবারই ভালো লাগবে।