Parambrata-Swastika: ‘শারীরিকভাবে বদল এসেছে…কলায় ওঁর অভিনয় ভালো লাগেনি', প্রাক্তন স্বস্তিকাকে নিয়ে অকপট পরমব্রত

Parambrata-Swastika: একটা সময় ‘সিঙ্গল মাদার’ স্বস্তিকার সঙ্গে পরমব্রতর প্রেম ছিল টলিপাড়ার আলোচ্য বিষয়। কিন্তু সময়ের সঙ্গে বদলেছে অনেক কিছুই, তবে প্রাক্তনের প্রতি পেশাগত সম্মান অটুট পরমব্রতর।

স্বস্তিকার বদল প্রসঙ্গে পরমব্রত

একটা সময় দু'জনের প্রেম নিয়ে চর্চা হত টলিউডের অলিতে-গলিতে। একা মা স্বস্তিকার প্রেমে হাবুডুবু খেয়েছেন পরমব্রত। তবে সে-সব এখন অতীত। এখন তাঁরা ‘এক্স’, প্রেম নেই ঠিকই কিন্তু পরস্পরের শিল্পীসত্ত্বাকে সম্মান করেন। তাই পেশাগত ক্ষেত্রে একসঙ্গে কাজ করতে কোনওদিন অসুবিধা হয়নি তাঁদের। ‘শাহজাহান রিজেন্সি’র পর ‘শিবপুর’ ছবিতে ফের একফ্রেমে ধরা দিয়েছেন তাঁরা।

গত শুক্রবারই মুক্তি পেয়েছে অভিনেতা পরমব্রতর ‘শিবপুর’। যে ছবি মুক্তির আগে থেকেই থেকেছে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে। ছবির যৌথ প্রযোজকের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনে ছবির প্রচারে সামিল হননি স্বস্তিকা। যদিও ‘শিবপুর আমার ছবি, আমি এই ছবির নায়ক’ এ কথা স্পষ্ট জানিয়েছেন অভিনেত্রী। স্বস্তিকা প্রচার থেকে নিজেকে গুটিয়ে রাখলেও পরমব্রত কিন্তু ‘শিবপুর’-এর প্রচারে খামতি রাখেননি। 

‘শিবপুর’ ছবিতে স্বস্তিকার সঙ্গে কাজ করে কী পরিবর্তন নজরে এসেছে পরমব্রতর? ফিভার এফএম-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পরমব্রত বলেন- ‘ওর মধ্যে ফিজিক্যাল পরিবর্তন এসেছে। ওকে এখন বেশ অন্যরকম দেখতে লাগে। শাহজাহান রিজেন্সির সেটে যে স্বস্তিকাকে দেখেছিলাম, তার চেয়ে বেশ আলাদা দেখতে লাগে।’ পরমের সংযোজন, ‘আমি এটা নিয়ে একটা সুস্থ উত্তর দিই। একটা চেঞ্জ… স্বস্তিকা আগের চেয়ে অনেক বেশি শান্ত হয়েছে। অনেক ঠাণ্ডা’। 

অভিনেত্রী হিসাবে স্বস্তিকার ভক্ত পরমব্রত। কিন্তু স্বস্তিকার অনেক ছবিই আছে যা পরমব্রতর ভালো লাগেনি। সাম্প্রতিক সময়ের তেমনই এক কাজের কথা বলতে গিয়ে পরমব্রত বলে- ‘আমার কলা ছবিটা সামগ্রিকভাবে খুব লেগেছে। কিন্তু কলায় স্বস্তিকার পারফরম্যান্স ওতোটা ভালো লাগেনি, যতটা পাতাললোকে লেগেছিল’। 

‘শিবপুর’ ছবিতে মাফিয়া কুইন মন্দিরার চরিত্রে দেখা মিলেছে স্বস্তিকার। ছবির সহ- প্রযোজকের বিরুদ্ধে স্বস্তিকা যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনার পরেও ইন্ডাস্ট্রির কেউই সেভাবে এগিয়ে আসেনি অভিনেত্রীর সমর্থনে। সেই প্রসঙ্গে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে অভিনেত্রী বলেছেন- ‘যতক্ষণ না নিজেদের সঙ্গে ঘটনা ঘটে, কেউই কারোর পাশে দাঁড়ান না। এখানে আমি কোনওদিনই কাউকে পাশে পাইনি, কারণ কোনওদিনই কোনও লবিতে ছিলাম না। আমার মাথায় কেউ কোনওদিন ছাতা ধরেনি। লোকজনের সঙ্গে আমি চা-কফিও খেতে যাইনা। এরপরেও যদি ২৩ বছর ধরে টিকে থাকতে পারি, তাহলে বাকিটাও পারব।’

অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে পরমব্রত সাফাই, স্বস্তিকা যে অভিযোগ এনেছেন তা অত্যন্ত সংবেদনশীল, এবং তিনি সহকর্মী হিসাবে তাঁর পাশে রয়েছেন। একইসঙ্গে শর্মিলা শো হাউসকে পরম এটাও জানান- ‘তবে প্রযোজকরা কিন্তু শুরু থেকেই স্বস্তিকার পাশে দাঁড়িয়েছেন’। তাদের অবস্থান অন্যরকম হলে, ছবির প্রচারে হয়ত তিনিই সামিল হতেন না এমন ইঙ্গিত দেন পরমব্রত। স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রযোজকদের স্বস্তিকার পাশে থাকার জেরেই ‘শিবপুর’-এর সঙ্গে থেকেছেন পরমব্রত।