টিআরপি-র লড়াই নিয়ে সর্বক্ষণ মাথাব্যাথা নির্মাতাদের। কারণ এই লড়াইয়ে এঁটে উঠতে না-পারলে সিরিয়ালের স্লট বদল, আরেকটু এদিক-ওদিক হলে বন্ধই হবে যাবে! মাস কয়েক আগেই বাংলা বিনোদন চ্যানেলে শুরু হয়েছে একটি ধারাবাহিক। অথচ টিআরপি এতটাই তলানিতে যে চ্যানেলের কোপ সহ্য করতে হয়েছে ইতিমধ্যেই। সেইসবের মধ্যেই সিরিয়ালের এক মুখ্য অভিনেতা বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে গায়েব ছিলেন। ভক্তরা ভাবছিল হয়ত সেই অভিনেতা অসুস্থ, কিংবা ব্যক্তিগত কোনও কারণ রয়েছে। এর আগেও সেই চ্যানেলেরই অপর এক সিরিয়ালে দেখা সেকেন্ড লিড হিসাবে দেখা গিয়েছিল অভিনেতাকে, তবে প্রথমবার লিড রোলে অভিনয়ের সুযোগ মিলেছিল। সেই নিয়ে এক্সাউটেড ছিল ভক্তরাও কিন্তু কৃষ্ণের এমনই লীলা সেই অভিনেতার সিরিয়াল থেকে বাদ পড়বার উপক্রম হয়ে দাঁড়ায়। এমনই কানাঘুষো টেলিপাড়ায়।
হ্যাঁ, টেলিপাড়া সূত্রের খবর, চরিত্রের সঙ্গে মানানসই অভিনয় করতে পারছিলেন না ওই অভিনেতা। অথচ সেই চরিত্রে অভিনয় যে সহজ হবে না তা কারুর অজানা নয়। সেই আইকনিক চরিত্রে আগে বহু অভিনেতা দর্শকদের মন জয় করেছেন। তাঁর অভিনয় দর্শকদেরও মন ধরছিল না, আর চ্যানেল কর্তৃপক্ষও খুশি ছিল না। সেই আপত্তির জেরেই তাঁকে বেশকিছু সময়ের জন্য সরিয়ে দেওয়া হয় স্ক্রিন থেকে। শোনা যাচ্ছিল, তিনি বাদ পড়তে পারেন ওই চরিত্র থেকে। কিন্তু না তেমনটা ঘটেনি, নিজেকে ঘসে মেজে নিয়ে আবার ফিরেছেন তিনি। তাতেও যদিও খুব বেশি স্ক্রিনটাইম তিনি পাচ্ছেন, তেমনটা নয়। সিরিয়ালের মাঝপথেই মুখ্যচরিত্র বদল ঘটেছে বহুবারই, হিন্দি হোক বা বাংলা- ছবিটা সর্বত্রই এক। কখনও ব্যক্তিগত সমস্যা, কখনও প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে বনিবনার অভাব। বছর কয়েক আগেই ‘বিজয়িনী’ ধারাবাহিকে শো-এর মাঝপথেই মুখ্য দুই চরিত্রেই বদল আনা হয়েছিল। সেই পরিবর্তনের কারণ স্পষ্টভাবে জানানো হয়নি, তবে শোনা গিয়েছিল লেখা চট্টোপাধ্যায় এবং ইমতিয়াজ হকের জুটির ম্যাজিক সৃষ্টি করতে পারেনি, তাই টেলিভিশনর অপর দুই পরিচিত মুখ স্বস্তিকা দত্ত ও রুদ্রজিৎ মুখোপাধ্যায় সেই জায়গা নেয়।