চলতি বছরের গোড়াতেই সাত পাকে বাঁধা পড়েন গায়ক দুর্নিবার সাহা। দু-বছরের মধ্যেই দ্বিতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে বসে চরম ট্রোলড হন সারেগামাপা খ্যাত গায়ক। নেটিজেনরা বিঁধতে ছাড়েননি তাঁর নতুন বউ ঐন্দ্রিলা সেন ওরফে মোহরকেও। টলিউড ইন্ডাস্ট্রির পরিচিত মুখ মোহর, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত জনসংযোগ আধিকারিক। আরও পড়ুন-বিয়ের ৮ মাসেই সুখবর! প্রেগন্যান্সির খবর দিলেন মোহর, বাবা হতে চলেছেন দুর্নিবার
বিয়ের সাত মাস পূর্ণ হতে না হতেই সুখবর দিয়েছেন মোহর-দুর্নিবার। মহালয়ার ঠিক পরদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় দম্পতি জানান, বাবা-মা হতে চলেছেন তাঁরা। সেই নিয়েও সোশ্যাল মিডিয়ায় নানান কু-মন্তব্য। তবে জুটির শুভাকাঙ্খীর সংখ্যাও নেহাত কম নয়। দুর্নিবার-মোহরকে শুভেচ্ছায় ভরিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। কেন এত জলদি সন্তান পরিকল্পনা সেরে ফেললেন দুজনে? এই ব্যাপারে এইসময়কে হবু মা জানান, ‘আমরা দুজনেই জানতাম সন্তান চাই। ভাবলাম,দেরি করে লাভ নেই’। মা হওয়ার উত্তেজনা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না, স্পষ্ট জানালেন মোহর।
মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন দুর্নিবার। কিন্তু টেকেনি সেই বিয়ে। এই সেই বিয়ে ভাঙার জন্য আঙুল উঠেছিল মোহরের দিকে। বিয়ের পর এত নেতিবাচক মন্তব্য, সবটা কী করে সামলালেন মোহর? তিনি জানান, পাবলিক ফিগার নন বলে এই নেতিবাচকতা সত্যি তাঁর পক্ষে সামলানো কঠিন ছিল। তবে দুর্নিবার এই ব্যাপারে অভ্যস্ত। মোহর বলেন, ‘এই ব্যাপারে ও (দুর্নিবার) ভয়ঙ্কর উদাসীন। ওর কিচ্ছু যায় আসে না। নিজের কাজ আর পরিবার ছাড়া ও কিছু নিয়ে ভাবে না। দাদার (প্রসেনজিৎ) মতো তাবড় তারকার নেগেটিভ কমেন্ট শোনার অভ্যাস থাকবেই। কিন্তু আমার ছিল না। আমার মন খারাপ হত, রাগ হত। মনে হয় সোশ্যাল মিডিয়ায় গিয়ে মোক্ষম একটা জবাব দিই। কিন্তু আমার পরিবার আর দাদা বুঝিয়েছে নেগেটিভ মন্তব্যকে পাত্তা দেওয়ার কোনও দরকার নেই’।
দুর্নিবার-মীনাক্ষির সম্পর্কের মাঝে তিনি কোনওদিন আসেননি। সেই বিয়ে ভাঙার সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্কই নেই স্পষ্ট করেন মোহর। তাঁর স্পষ্ট কথা, ‘একটা সম্পর্ক ভাঙছিল, তারপর আমি দুর্নিবারের জীবনে এসেছি। অথচ এর মধ্যে আমাকেও জড়িয়ে দেওয়া হল’।
আগামী বছরের গোড়াতেই আসবে মোহর-দুর্নিবারের প্রথম সন্তান। এখন ঘর থেকেই নিজের কর্মকাণ্ড সামলাচ্ছেন মোহর। সারাক্ষণ তাঁকে সাপোর্ট করে চলেছেন ‘দাদা’ প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। বিতর্ক, নেতিবাচকতা দূরে সরিয়ে এখন হবু সন্তানের অপেক্ষায় দিন গুণছেন মোহর-দুর্নিবার।