Prosenjit-Pallabi Bhai Phonta: উৎসব ফাঁকা! মুম্বই-তে ভাইফোঁটার উদযাপনে মেতে প্রসেনজিৎ-পল্লবী, কেন?

Prosenjit-Pallabi Bhai Phonta: এবার কলকাতা নয়, মুম্বইতে ভাইফোঁটা সেলিব্রেট করলে প্রসেনজিৎ-পল্লবী। শহর বদলালেও বদল নেই ভাই-বোনের ভালোবাসায়।

মুম্বইয় ভাইফোঁটার উদযাপন প্রসেনজিৎ-পল্লবীর 

ভাইফোঁটা মানেই হইচই প্রসেনজিৎ-এর ‘উৎসব’-এ। নায়কের বালিগঞ্জস্থিত বাড়ি এবার উৎসবহীন! তার বদলে মুম্বইয়ে ভাইফোঁটা উদযাপন করেন প্রসেনজিৎ ও তাঁর আদরের ছোট বোন, মাকু অর্থাৎ অভিনেত্রী পল্লবী চট্টোপাধ্যায়।

এবার কলকাতায় ভাইফোঁটার চিরাচরিত আয়োজন হচ্ছে না, সংবাদমাধ্যমের বন্ধুদের আগেই জানিয়েছিলেন পল্লবী। বলেছিলেন, এবার তিনি মুম্বইয়ে। কিন্তু শহর বদলালেও দাদা আর বোনের ভালোবাসার বন্ধন অটুট। এদিন মায়ানগরীতেই দাদাক ফোঁটা দিলেন পল্লবী। সেই ছবি ফেসবুকের পাতায় শেয়ার করে নিয়েছেন তাঁরা। প্রসেনজিৎ লেখেন, ‘কলকাতা হোক বা মুম্বই, ভাইফোঁটার আনন্দ মিস করা যায় না। আশা করি সকলেরই খুব ভালো কাটছে দিনটা।’

কলকাতায় বুম্বাদার ভাইফোঁটা মানেই, সাবকি সাজ। তবে এবার পাঞ্জাবি নয়, হালকা নীল হাফ হাতা শার্ট আর টর্নড জিনস পরেই ফোঁটা নিলেন ‘ইন্ডাস্ট্রি’। হলুদ শাড়িতে ঝলমলে নায়কের বোন। 

এই ব্যাপারে পল্লবী চট্টোপাধ্যায়ের কাছে জানতে চাওয়া হলে অভিনেত্রী বলেন, ‘পুরো ব্যাপরটা কিন্তু একদম কাকতালীয়। দাদা ঘটনাচক্রে মুম্বইয়ে ছিল। আর ভাইফোঁটা দেওয়াটাও তো জরুরি।’ প্রসেনজিৎ খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে কতটা হিসাবি তা কারুর অজানা নয়। ভাইফোঁটার দিনও তাই বিশেষ কোনও আয়োজন নেই। আর উপহার? হাসিমুখে অভিনেত্রীর জবাব, ‘বিশেষ দিনে যে কিছু দিতেই হবে তার কোনও মানে নেই। আমরা সারাক্ষণ পরস্পরকে উপহার দিতে থাকি’। 

এখন নিয়মিত মুম্বই যাতাযাত রয়েছে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের। চলতি বছর বলিউডের দুই বহুচর্চিত ওয়েব সিরিজ ‘জুবিলি’ এবং ‘স্কুপ’-এ দেখা মিলেছে তাঁর। ইতিমধ্যেই খবর, শীঘ্রই পরিচালক প্রসেনজিৎ নিজের নতুন প্রোজেক্টের ঘোষণা করবেন। নটী বিনোদিনী-কে নিয়ে হিন্দিতে ছবি তৈরি করবেন তারকা, নামভূমিকায় থাকবেন কঙ্গনা রানাওয়াত। এই জল্পনা নিয়ে অবশ্য এখনও মুখ খোলেননি অভিনেতা। 

তবে সেপ্টেম্বরের শেষে নিজের জন্মদিনে স্পষ্ট করেছিলেন পরিচালক হিসাবে শীঘ্রই ফিরবেন তিনি। অভিনেতা বলেছিলেন, ‘দু-মাস অপেক্ষা করুন। নভেম্বর মাসের শেষের দিকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা সারব।’ আজকালকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অভিনেতা জানিয়েছিলেন, ‘ভাষা হিসাবে বাংলা তো থাকবেই। হিন্দি,ইংরাজিও থাকতে পারে। একটা টার্গেট নিয়ে এগোচ্ছি। এখানকার কিছু জিনিসকে আন্তর্জাতিক স্তরে নিয়ে যেতে চাই। বাংলা ঐতিহ্য আর সংস্কৃতিকে নিয়েই এগোব।’