সময়টা সত্যিই ভালো যাচ্ছেন না পরিচালক রাজ্ চক্রবর্তীর । কদিন আগেই বাবাকে হারিয়েছেন টলিউডের প্রখ্যাত এই পরিচালক । হৃদযন্ত্রের সমস্যা থেকে বুকে ব্যাথা নিয়ে বাইপাসের ধারের এক বেসরকারি হাসপাতালে দীর্ঘদিন ভর্তি ছিলেন রাজের বাবা কৃষ্ণ শংকর চক্রবর্তী । বাবা হাসপাতালে থাকাকালীনই ১৭ই অগস্ট কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসে রাজের । বাধ্য হয়েই নিজের বাড়িতে আইসোলেশনে যেতে হয় তাঁকে । আর ২৮ শে অগস্ট হাসপাতালেই প্রয়াত হন কৃষ্ণ শংকর বাবু । সেই দিনই রাজের কোভিড-১৯ রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় দূর থেকেই বাবাকে অন্তিম বিদায় জানানোর সুযোগ পেয়েছিলেন। সোমবার দিদিদের সঙ্গে নিয়ে বাড়িতেই বাবার শ্রাদ্ধানুষ্ঠান সারলেন পরিণীতার পরিচালক ।
প্রয়াত কৃষ্ণ বাবুর স্মৃতি চারণ করতে গিয়ে ক্যালক্যাটা টাইমসকে রাজ জানান ' এখনও যেন বিশ্বাসই করতে পারছিনা বাবা চিরকালের মতো আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছেন । আমি , শুভশ্রী , মা এই তিনজনকে নিয়েই ছিল ওনার জগৎ । আমায় উনি শিবু বলে ডাকতেন । শুভশ্রীকে বলতেন সোনা মা । দাদু হতে চলেছেন বলে প্রচন্ড আনন্দে ছিলেন , কিন্তু তাঁর সেই স্বপ্ন আর পূরণ হলো না । শুভশ্রী আমার স্ত্রী নয়,একদমই ছিল ওনার মেয়ের মতন । ও এখনও মানতে পারছেনা বাবা আর নেই ' ।

এখনও নিজের বাবার পুরোনো হোয়াটস্যাপ চ্যাট খুলে দেখেন রাজ । জানিয়েছেন ,' হাসপাতাল থেকেও নিয়মিত বাবা ফোন করে খবর নিতেন আমি খেয়েছি কি না । ভাত আর পাঁঠার মাংস খেতে খুবই ভালোবাসতেন । রবিবার দুপুরে তাই ওটাই ছিল আমাদের বাঁধাধরা মেনু । খেয়ে উঠে আধ ঘন্টা পরেই চা খেতে চাইতেন বাবা আর মা খুব রেগে যেতেন ' ।
কিন্তু পরিচালক ছেলের কোন সিনেমা সব চেয়ে পছন্দের ছিল কৃষ্ণ বাবুর ? ' বাবার খুব পছন্দের ছবি ছিল প্রলয় এবং বোঝেনা সে বোঝেনা । ' না রে না আর তো পারিনা ' গানটা বাবার খুব পছন্দের গান ছিল । প্রার্থনা করি উনি যেখানেই থাকুন , ভালো থাকুন , আর আমাদের ভবিষ্যৎ জীবনের পথে গাইড করুন সেই ছোটবেলার মতোই ' , জানিয়েছেন শোকসন্তপ্ত রাজ ।