টলিপাড়ায় জনপ্রিয় জুটির তালিকায় নাম আসে রাজা আর মধুবনী গোস্বামীর। পাওয়ার কাপল বললেও ভুল হয় না। সামাজিক মাধ্যমে রিলেশনশিপ গোল দেন তাঁরা। কেশবের দায়িত্ব নেওয়া থেকে শুরু করে, ঘরের কাজ, একে-অপরের খেয়াল রাখা, সবটা করেন একসঙ্গে মিলেমিশে, ভালোবেসে।
পুজো কেমন কাটল রাজা-মধুবনী আর ছোট্ট কেশবের? সামাজিক মাধ্যম থেকেই মিলল হালকা আভাস। ষষ্ঠী-সপ্তমী ঘুরেছেন কলকাতাতেই। ছেলেকে নিয়ে ঠাকুর দেখেছেন, চিকেন কাবাব খেয়েছেন, কেশব কিনেছে বেলুনও। তবে আপাতত চলে গিয়েছেন সপরিবারে পুরী। বৃষ্টিতে ভিজে ভিজেই ঘুরেছেন কোনারকের মন্দির। আরও পড়ুন: আদিদেব ও সৎ ছেলে আকাশকে নিয়ে পুজোর মজায় সুদীপা! রোম্যান্স বর অগ্নিদেবের সঙ্গে
দীর্ঘ ১১ বছরের সম্পর্ক রাজা-মধুবনীর। সিরিয়াল ভালোবাসা ডট কমের সেটে শুরু হয়েছিল প্রেমটা। ২০১৬ সালে সাত পাকে বাঁধা পড়েন দুজনে। ২০২১ সালের এপ্রিলে মা হয়েছেন অভিনেত্রী। জন্ম হয় তাঁদের প্রথম সন্তান কেশবের। ছেলের জন্মের পর থেকে কাজ থেকে নিয়েছিলেন বিরতি। যদিও চলছিল ভ্লগিং, নিজের পার্লারের দেখাশোনা করা। শুধু সেটে ফেরেননি।
আরও পড়ুন: টলিউডে ঝড় তুলছে দশম অবতার! ধরতে মরিয়া বাঘা যতীন-রক্তবীজ, কার কত টিকিট বিক্রি হল
সান বাংলার আসন্ন সিরিয়াল ‘শ্যামা’র হাত ধরে আসছেন খুব জলদি টিভিতে। এই ধারাবাহিকে মা তারার চরিত্রে দেখা যাবে তাঁকে। এখনই ছেলেকে ছেড়ে সারাদিনের জন্য শ্যুটে যেতে মায়ের মন মানছে না! তাই এমন এক চরিত্র বেছেছেন যাতে খুব কড়া শিডিউল থাকবে না। কেশবকেও সময় দিতে পারবেন। আর নিজের ভালোবাসার কাজ অভিনয়টাও পারবেন করতে।
আর রাজা আপাতত কাজ করছেন কালার্স বাংলার বিয়ের ফুল ধারাবাহিকে নবনীতা দাসের বিপরীতে। কদিন আগেই রাজা-মধুবনী একসঙ্গে এসেছিলেন দিদি নম্বর ১-এ। যেখানে রাজাকে বলতে শোনা যায়, ‘মানুষ হিসেবে জন্মেছি কাজ করার জন্য়। আমি বিশ্বাস করি, ছেলে-মেয়ে সমান কাজ করব।’ যাতে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মধুবনী বলেন, ‘ও একদম প্রো। সব কাজ পারে।’ বউকে থামিয়ে দিয়ে রাজা বলতে থাকেন, ‘জাপানের সেই রোবটগুলো হয় না। ফ্লোর ঝাড় দেওয়া থেকে শুরু করে সব করে দেয়। আমি ওরকম।’
তবে মা হওয়ার পর মধুবনীও সংসারের অনেক কাজ শিখেছেন। বিশেষ করে রান্নাটা। তাঁর কথায়, ‘এর আগে দিদি নম্বর ১-এ এসে আমি তো বলেছিলাম, শুধু জল গরম করতে পারি। কিন্তু এখন আমি খুব ভালো রান্না করি। প্রমাণ রাজা দেবে।’