বিয়ে আর বাচ্চা জন্মানোর পর অনেক নায়িকাই নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন রুপোলি পর্দা থেকে দূরে। এই তালিকায় নাম রয়েছে কাজল, করিশ্মা কাপুরের মতো অভিনেত্রীদেরও। এমনকী, মেয়ে আদিরার জন্মের পর এমন চিন্তা এসেছিল রানি মুখোপাধ্যায়ের মাথাতেও। আর সেই সময়, আদিত্য চোপড়াই অভিনেত্রী বউকে বুঝিয়ে ফিরিয়েছিলেন কাজে।
নিজের সদ্য মুক্তি পাওয়া সিনেমা ‘মিসেস চ্যাটার্জী ভার্সেস নরওয়ে’ প্রসঙ্গে এমনটা জানান রানি। সঙ্গে ভাগ করে নেন, তিনি যখন হিচকির কাজ শুরু করেছিলেন তখন আদিরা সবে ১৪ মাসের। রানির কথায়, মেয়ের জন্মের পর তাকে দেখভাল করায়, মেয়ের সঙ্গে সময় কাটানোতে এতটাই ঢুকে গিয়েছিলেন যে, সিনেমায় ফেরার কথা যেন আর ভাবতেও পারছিলেন না। সেই সময় আদিত্যই তাঁকে পথ দেখান। রানিকে মনে করিয়ে দেন তাঁর পরিচয়, ভারতীয় সিনেমায় তাঁর ভূমিকা, তাঁর অগুণতি ভক্তের কথা। আর এসবের পরে রানিও বুঝতে পারেন মাতৃত্ব আর কাজের মধ্যে ব্যালেন্স তৈরি করা কতটা দরকারি। আর সেই সময়ই হ্যাঁ বলেন ‘হিচকি’র অফারে।
বক্স অফিস নম্বর নিয়েও কথা বলেন অভিনেত্রী। খোলাখুলি মেনে নেন যে, কোনও ছবি ভালো ব্যবসা করার অর্থ হল অভিনেতা-অভিনেত্রীদের কাছে বার্তা পৌঁছনো যে ছবিটি ভালো লেগেছে। রানি মনে করেন, এর থেকে বড় পাওনা ও সন্তুষ্টি আর কোনও কিছুতে হতে পারে না।
‘কাভি আলবিদা না কহেনা’ অভিনেত্রী সঙ্গে জানান, অনেকেই তাঁকে বলেছিল, বিয়ে করার পর নাকি আর সেভাবে কাজ পাবেন না। এমনকী, মেয়ের জন্মের পরও শুনতে হয়েছিল, আগের মতো সিনেমায় মুখ্য চরিত্র পেতে সমস্যা হবে। রানি জানান, তিনি খুশি যে দুটি কথাকেই পেরেছেন ভুল প্রামণ করতে।
২০০১ সালে যশরাজ ব্যানারের হাত ধরেই কাজ শুরু করেছিলেন রানি মুখোপাধ্যায়। আর ওই বছরেই দীর্ঘদিনের প্রেমিকা পায়েল খান্নার সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন আদিত্য। যদিও ২০০৯ সালে বিচ্ছেদ হয়ে যায় পায়েল আর আদিত্যর। অনেকের মত, এই বিচ্ছেদের পিছনে নাকি কারণ ছিলেন রানিই।
এমনকী, চোপড়া পরিবারও অনেকদিন মেনে নেয়নি রানিকে। বউ নিয়ে হোটেলে থাকতে হয়েছিল আদিত্যকে। ২০১৪ সালে বিয়ে করেন রানি আর আদিত্য। আর ২০১৫ সালের ৯ ডিসেম্বর জন্ম হয় মেয়ে আদিরার। এখনও সেভাবে মেয়ের ছবি-ভিডিয়ো ভাগ করে নিতে দেখা যায়নি রানিকরে। বরং, সব প্রচারের আলো থেকে আদিরাকে দূরেই রাখতে চান রানি ও আদিত্য।