সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু মামালর মূল অভিযুক্ত রিয়া চক্রবর্তীর আইনজীবী সতীশ মানেসিন্ধে এবার নতুন দাবি করলেন। সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমের তরফে সামনে আনা হয় সুশান্ত সিং রাজপুত এবং তাঁর দিদি প্রিয়াঙ্কা সিংয়ের একটি হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট। যা দেখে স্পষ্ট সুশান্তের অবসাদগ্রস্ত হওয়ার বিষয়টি জানতেন প্রিয়াঙ্কা সিং এবং চিকিত্সকের সঙ্গে কোনওরকম কনসালটেশন ছাড়াই সুশান্তকে কিছু ওষুধ নেওয়ার পরামর্শ দেন প্রিয়াঙ্কা। সতীশ মানেসিন্ধের কথায় এটি জানতে পারবার পরেই সুশান্তের সঙ্গে ঝামেলায় জড়ান রিয়া এবং অ্যাপার্টমেন্ট ছেড়ে বেরিয়ে আসেন।
ইন্ডিয়া টুডেকে রিয়ার আইনজীবী বলেন, প্রিয়াঙ্কা ৮ জুন সুশান্তকে তিনটি অ্যান্টি-অ্যানসাইটির ওষুধ নেওয়ার পরামর্শ দেন। ‘রিয়া চক্রবর্তী নিজের বয়ানে সিবিআই এবং ইডিতে স্পষ্ট জানিয়েছেন যে ৮ জুন, প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে সুশান্তের কথা হয়। প্রেসক্রিপশন ছাড়াই সুশান্তকে তিনটি ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ সুশান্তকে দিয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা। এর বিরোধিতা করেন রিয়া। কারণ চিকিত্সকের পরামর্শে তখন সুশান্তের ওষুধ চলছিল। এরপর রিয়া এবং সুশান্তের এই বিষয়টা নিয়ে ঝামেলা হয় এবং প্রয়াত অভিনেতা আমার মক্কেলকে বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বলে। এরপর রিয়া ফোন করে তাঁর ভাই শৌভিককে এবং বাড়ি ফিরে যায়’।
সতীশ মানেসিন্ধে বলেন, বে-আইনি প্রেসক্রিপশনের দিকটাও খতিয়ে দেখা উচিত। ‘এটা একেবারেই অনুচিত। হাসপাতাল থেকে মিথ্যা প্রেসক্রিবশন তৈরি করানোর জন্য ওঁদের শাস্তি হওয়া উচিত। প্রেসক্রিবশনে বলা হয়েছে, ওটা OPDতে তৈরি করা হয়েছে যা একদম মিথ্যা। সুশান্ত ওর বাড়ির বাইরে বার হয়নি। এটা তদন্ত করে দেখা উচিত যে কীভাবে মুম্বইতে বসে রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতাল থেকে প্রেসক্রিপশন পেল সুশান্ত’।
সুশান্ত ও প্রিয়াঙ্কার ওই হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে দেখা গিয়েছে ভাইকে তিনটি ওষুধ প্রয়োজনে খাওয়ার কথা বলেছিলেন প্রিয়াঙ্কা সিং, যা অ্যান্টি-ডিপ্রেশন এবং অ্যান্টি-অ্যানসাইটির ওষুধ। জবাবে সুশান্ত বলেন, প্রেসক্রিপশন ছাড়া কোনওভাবেই এইসব ওষুধ কেন সম্ভবপর নয়। এরপর প্রিয়াঙ্কা নিজের সোর্সকে কাজে লাগিয়ে দিল্লি থেকে একটি প্রেসক্রিপশন তৈরি করিয়ে সুশান্তকে পাঠান। এবং জানান, অনলাইন কনসালটেশনের মাধ্যমে তিনি দিল্লি থেকে এই প্রেসক্রিপশন পেয়েছেন তা জানাতে বলেন। প্রয়োজনে মুম্বইতে উপযুক্ত চিকিত্সকের সঙ্গে অ্যাপয়েনমেন্ট করাবার কথাও বলেন প্রিয়াঙ্কা।
১৪ জুন বান্দ্রার অ্যাপার্টমেন্ট থেকে উদ্ধার হয় সুশান্তের দেহ। এরপর ২৫ জুন রিয়া চক্রবর্তী ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে সুশান্তকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ আনেন সুশান্তের বাবা। আপতত সিবিআই, ইডি এবং নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো এই মামলার তদন্ত করছে।