সদ্যই শেষ হল বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব। এখনও তার রেশ কাটেনি। দুর্গাপুজো শেষ হতে না হতেই সর্বত্র চলছে লক্ষ্মী পুজোর তোড়জোড়। বাদ যাচ্ছে না আগামী বছরের জন্য দিন গোনা। এরই মধ্যে একটি বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন থিয়েটার কর্মী সৌরভ পালোধী।
কী বলেছেন সৌরভ পালোধী?
নিয়ম মেনে পাঁচদিন ধরে দুর্গাপুজো হওয়ার পর দশমী বা কোনও কোনও জায়গায় একাদশী বা দ্বাদশীর দিনও প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়। এই সময় আগে সাত বার দুর্গা প্রতিমাকে ঘুরিয়ে নিয়ে হয় গঙ্গার পাড়ে ট্রলিতে তুলে দেবীমূর্তিকে জলের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়। নইলে নৌকায় চড়িয়ে মাঝ নদীতে নিয়ে গিয়ে বিসর্জন দেওয়া হয়। কোথাও কোথাও আবার পুকুরেও দেবীমূর্তি ভাসান দেওয়া হয়। মোটামুটি এই রীতি সব জায়গায় মেনে চলা হয়। এই গোটা আচারকেই সম্প্রতি কটাক্ষ করলেন থিয়েটার কর্মী সৌরভ পালোধী।
সৌরভ মূলত মীরাক্কেল শোতে নাম দেওয়ার পর জনপ্রিয় হন। বর্তমানে তাঁর একটি নাট্য দল আছে। এছাড়াও সিনেমার পরিচালনাও করেন তিনি। তবে সব কিছু ছাড়াও আরও একটি পরিচয় আছে তাঁর, তিনি বাম সমর্থক। তিনি এদিন ফেসবুকে বিসর্জনের এই রীতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
যেহেতু দুর্গাকে বাংলার ঘরের মেয়ে বলে মনে করা হয়, সেহেতু তাঁর এভাবে বিসর্জন সৌরভ মানতে পারেন না। তাই তিনি কটাক্ষ করে লেখেন, 'ছুঁড়ে জলে ফেলে দিয়ে বলছে, সাবধানে যেও মা। এ কেমন ভালোবাসা মাইরি।' এতেই ক্ষেপে গিয়েছেন সকলে।
কে কী বলছেন?
সৌরভ এই পোস্ট করার পর তাঁকে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়তে হয়। সইতে হয় নানা কটাক্ষও। একজন তাঁকে ভাবনাটা বুঝিয়ে লেখেন, 'কাঠামো জলে ফেলা হল। কিন্তু তার চিন্ময়ী সত্তাকে বলা হলো সাবধানে যেও। আমাদের চিরাচরিত অনুভূতিগুলো সত্যিই সুন্দর। সেটা সহজ ভাবে বুঝুন। হজম হবে ঠিকঠাক।' কেউ আবার লেখেন, 'ইসসস। কত উচ্চ চিন্তার কমরেড। আঁতেল বললেও কম বলা হবে। জাপানে থাকেন আপনি?' আরেকজন লেখেন, 'এতদিন আলটপকা মন্তব্য শুধু দেবাংশু করতো! অভিনন্দন।' কেউ কেউ বাম দলকে কটাক্ষ করে বলেন, 'কেন 'শূন্য' তার একটা বড় কারণ।'