কদিন আগেই খবর মিলেছিল লোকসভা ভোটের প্রার্থী তালিকায় নাম না থাকায় নাকি দলের সাংগঠনিক দায়িত্ব ছেড়েছেন, ইস্তফা দিয়েছেন সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে রটে যায় তাঁর বিজেপিতে যোগ দেওরা কথাও। যদিও পরে মুখ খুলে সায়ন্তিকা এসে জানান, এসব ভুয়ো ধারণা। আর তারপরেই রটে যায় বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক।
টলিপাড়ায় একাধিক ছবিতে কাজ করেছেন সায়ন্তিকা। তবে সেভাবে সাফল্য আসেনি তাঁর দোরগোড়ায়। এরপর রাজনীতিতে এসেও তীর মারতে পারেননি। ফলে বিয়ে করে থিতু হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেই শোনা যাচ্ছিল। অবশেষে সেই জল্পনা ওড়ালেন তিনি নিজেই করলেন লম্বা একটি পোস্ট সামাজিক মাধ্যমে।
আরও পড়ুন: ‘একটা মেয়ে এসেছিল সঙ্গে, সেই কি শ্রীময়ী!’, কাকে নিয়ে বং গাই কিরণের বাড়িতে কাঞ্চন
‘হ্যালো, আমার মিডিয়ার সব বন্ধুদের কাছে অনুরোধ, আপনারা আমার দয়া করে বিয়ে নিয়ে কোনও ভুয়ো খবর ছড়ানো থেকে বিরত থাকুন। এই ধরনের খবরে কোনও সত্যতা নেই। আমি এটা বলব যে, এরকম কিছু হলে আমিই নিজেই সবাইকে খুব খুশি হয়ে জানাব।’
আরও পড়ুন: ‘আমিরের পছন্দ তো…’! একটু টলল পা, মণীশের বাড়ির বাইরে ফতিমা সানা শেখের অবাক কাণ্ড
‘সামাজিক মাধ্যমে বর্তমানে আলোচনার মতো নানা বিষয় আছে। আমি মিডিয়া পোর্টালগুলোর কাছে অনুরোধ করব, সেগুলোতে জোড় দিন। এই ধরনের খবর ছড়ানো বাদ দিয়ে।’, আরও যোগ করেন সায়ন্তিকা।
কয়েক মাস আগেই বাংলাদেশের নায়ক জায়েদ খানের সঙ্গে সায়ন্তিকার ঘনিষ্ঠতার খবর উঠে এসেছিল। দুই বাংলাতেই সেই খবর হয়। সায়ন্তিকা বিয়ের খবর উড়িয়ে এর আগে জানিয়েছিলেন, তাঁর মন পড়ে আছে বাঁকুড়াতেই। তাই নিজের জন্য পাত্র খোঁজার মতোও সময় নেই। এমনকী, তাঁর মা-বাবাও চান না, তাঁদের মেয়ে বসুক বিয়ের পিঁড়িতে।
আরও পড়ুন: গ্রেগ চ্যাপেলের চাপেও ভাঙেননি সৌরভ! দাদাগিরিতে অবসাদ নিয়ে নেহা আমনদীপকে বললেন, ‘তুমিই একমাত্র নও…’
তবে লোকসভা ভোটে টিকিট না দেওয়ায় সায়ন্তিকার মনে যে ক্ষোভ আছে, তা স্পষ্ট। টিভি নাইনকে তিনি জানিয়েছিলেন, ‘ভালোবাসা থাকলে অভিমান থাকবে। একটা বিধানসভায় হেরে সাতটি বিধানসভা মিলিয়ে লোকসভা নির্বাচনে জিতে দেখাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সেই চ্যালেঞ্জ আমাকে নিতে দেওয়া হল না।’
কাজের সূত্রে, ২০২২ সালে সেভিংস অ্যাকাউন্টে সিনেমাতে শেষ দেখা গিয়েছে সায়ন্তিকাকে, অঙ্কুশ হাজরার বিপরীতে।