'থ্রি ইডিয়ডস'-এর আমির, মাধবনের সঙ্গে আরও একজনকে ও দেখা গিয়েছিল। হ্যাঁ, অভিনেতা শরমন যোশীর কথাই বলছিলাম। এবার ওয়েব শো 'কাফাস' দিয়ে ফের একবার পর্দায় ফিরছেন শরমন। 'কাফাস' এমন একজন শিশু শিল্পীর বাবার ভূমিকায় শরমনকে দেখা যাবে, যে যৌন নির্যাতনের শিকার। এদিকে 'কাফাস' নিয়ে সাক্ষাৎকারে শরমনকে যখন কাস্টিং কাউচ নিয়ে প্রশ্ন করা হয়, তখন তাঁর জবাব ছিল, এটা ব্যক্তির উপর নির্ভব করে যে সে ‘হ্য়াঁ’ বলবে নাকি ‘না’।
'কাফাস'-এর গল্প ঠিক কেমন? একথায় শরমন বলেন, কাফস-এর আক্ষরিক অর্থ খাঁচা। কাফাস একটি ট্র্যাজেডিতে আক্রান্ত একটি পরিবারের গল্প। যেখানে সেই পরিবার বাধ্য হয়ে চুপচাপ টাকা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে সেই পরিবার সেখান থেকে বের হয়ে আসতে পারে কিনা সেটাই দেখার।
আরও পড়ুন-অক্ষয়ের কোন কথায় সেদিন চোখে জল চলে এসেছিল রাজেশ শর্মার?
আরও পড়ুন-শাহিদের মাকে ছেড়ে আমায় বিয়ে! মা খালি বলতেন পঙ্কজ তোমাকেও ছেড়ে যাবে: সুপ্রিয়া
একজন শিশুশিল্পীকে কাস্টিং কাউচে কি সত্যিই 'না' বলতে পারেন? এর উত্তরে শরমন বলেন, কাস্টিং কাউচের সম্ভাবনা নিয়ে আমার কোনও সন্দেহ নেই। অনেক অল্পবয়সী আছেন যাঁরা এর মধ্যে যেতে চান না, তবে এমন অনেকেই আছে যাঁরা এতে স্বচ্ছন্দ। শরমন বলেন, কাফাসে দেখানো হবে যে একটি বড় নামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া কতটা কঠিন হতে পারে! এমন লড়াইয়ে যাঁরা ক্ষমতাশালী এবং ধনী তাঁদেরকে বিরুদ্ধে যাওয়া খুব কঠিন। কারণ, আর্থিক ও মানসিক কোনও সামর্থ্যই এখানে আপনার থাকে না। আবেগের দিক থেকেও ওঁরাই আপনাকে শোষণ করেন।
যৌন নিপীড়নের শিকার কোনও শিশুকে বাবা-মায়ের কীভাবে পরিচালনা করা উচিত? একথায় শরমন বলেন, এক্ষেত্রে বাবা-মা নির্বিশেষে পৃথক মত উঠে আসবে। তবে আমি বলব কোনও পেশাদার মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। আর যতক্ষণ না সন্তান বিষয়টা থেকে বের হয়ে আসতে পারছেন, ততক্ষণ ওর পাশে থাকুন। এটা একটা দ্বৈত পদ্ধতি। আমি মনে করি এই ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য আপনাকে কোনও মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছেই যাওয়া ভালো।