বর্তমানে গোটা দেশ যখন করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় আতঙ্কের প্রহর গুনছে সেই সময়েও মলদ্বীপে ছুটি কাটাতে পারি দিয়েছেন একের পর এক বলি-তারকা। তবে শুধুই ঘুরতে গিয়ে তাঁরা ক্ষান্ত হননি। মলদ্বীপের সমুদ্র সৈকতে জলকেলির ছবি কিংবা বিকিনি পরে নেটদুনিয়ায় উষ্ণতা ছড়ানোর আছিলায় 'স্পটলাইট'-এ আসার কোনও সুযোগ ছাড়েননি তাঁরা। সবথেকে অবাক ব্যাপার,গোটা দেশে যখন করোনা অতিমারীর ফলে প্রতিদিন ঘটছে অসংখ্য প্রাণহানি সেই সময়েও কী করে বিলাসিতায় ভরা ছুটি কাটানোর ছবি তাঁরা জনসমক্ষে আনেন 'লাইক','শেয়ার' পাওয়ার আশায় তা ভেবে অবাক হওয়ার পাশাপাশি ক্ষুব্ধও হয়েছে নেটিজেনরা। এই প্রসঙ্গে নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী তো ওই তারকাদের উদ্দেশে সরাসরি তোপ দেগে বলেছেন,' এবার তো একটু লজ্জা-টজ্জা করুন!' অভিনেতা অন্নু মালিকও সোশ্যাল মিডিয়ায় অনুরোধ জানিয়েছেন তারকারা যেন দেশের এই কঠিন সময়ে বিদেশে ছুটি কাটাতে গেলেও সেইসব ছবি সবাইকে দেখানো থেকে বিরত থাকে মানবিকতার খাতিরে। তবে শোভা দে অবশ্য বরাবরই ঠোঁটকাটা। তাঁর লেখা শব্দ যেমন নির্মেদ,কাটা কাটা তেমনই তাঁর কথা। দ্বর্থ্যহীন ভাষায় এই বিখ্যাত লেখিকা একহাত নিয়েছেন মলদ্বীপে ছুটি কাটানো সেইসব বলি-তারকাদের। 'মলদ্বীপে ছুটি কাটানোর ছবিগুলো আদতে নোংরামোর চূড়ান্ত!' বলার পাশাপাশি সভার কটাক্ষ, গোটা দেশ যখন করোনার বিরুদ্ধে আপ্রাণ লড়ছে সেই সময়েও যেকোনও ছল-ছুতোয় এই বলি-নায়িকারা তৈরি তাঁদের নিটোল 'বিকিনি বডি' দেখানোয়। সদ্য প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য,' কী আর করা যাবে। সবাই তো আর সময় সুদ হতে পারবেন না !' এখানেই না থেমে কটাক্ষের ঝাঁঝালো ভাষায় শোভা লেখেন,' ছিঃ ছিঃ,এরকম করোনা পরিস্থিতিতে না হয় ওই ফিল্মি তারকারা ছুটি কাটাতে বিদেশে গেছেন। না হয় একটু ছবিই আপলোড করেছে। তার জন্য কি ওই 'বেচারা'-দের সমালোচনা করাটা উচিৎ ? তাঁরা তো নিজের টাকাতেই ঘুরতে যাচ্ছে না কি ? এছাড়া তাঁরা আর কীই বা করতে পারেন ? সবাই সোনু সুদ নাকি?'
প্রসঙ্গত,এর আগেও একটি পোস্টের মাধ্যমে ওই বলি-তারকাদের বিঁধেছিলেন শোভা। লিখেছিলেন, 'মলদ্বীপ যত ইচ্ছে ঘুরুন,আনন্দ করুন। এই দুঃসময়েও যদি বাইরে যাওয়ার সুযোগ থাকে আপনাদের তাহলে তা দারুণ ব্যাপার। কিন্তু দয়া করে নিজেদের সেইসব ছুটি কাটানোর ছবি এখন দেখা তে আসবেন না।'