তারকারা সবসময়ই থাকেন নেটদুনিয়ায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। তাঁদের নিয়ে হামেশাই চলে নানা রকম কাটা-ছেঁড়া। বিশেষত, নায়িকারা। নিজেদের লুকস,ওজন, পোশাক-সবকিছুর জন্য ২৪ ঘন্টাই সচেতন থাকতে হয় তাঁদের। মাসখানেক ধরেই শ্রুতি হাসানের লুকস নিয়ে চর্চার শেষ নেই সোশ্যাল মিডিয়ায়। তিনি নাকি প্ল্যাস্টিক সার্জারি করিয়েছেন। দুদিন আগেই নিজের মুখে শ্রুতি হাসান স্বীকার করে নিয়েছেন প্লাস্টিক সার্জারির কথা এবং সেই নিয়ে বিন্দুমাত্র লজ্জিত নন তিনি। এবার অভিনেত্রী জানালেন পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (পিসিওএস) এবং ডিসমেনোরিয়া রোগে আক্রান্ত তিনি। সেই কারণেই তাঁর শরীরে ওজনে পরিবতর্ন দেখা যায়। পাশাপাশি তাঁকে নাকি ভারতীয়দের মতো দেখতে নয়, এমন কথা শুনেই লিপ সার্জারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি।
মুম্বই মিররকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে কমল হাসান কন্যা জানিয়েছেন, 'অনেক অভিনেত্রী আছেন যাঁরা স্বীকার করবেন না যে তাঁদের মুখের উপর তাঁরা ছুরি-কাঁচি চালিয়েছেন,কিন্তু আমি ওরকম নই। আমি চাই না ছোট ছেলেমেয়েরা আমাকে দেখে ভাবুক আমাকে জন্মগত এইরকমই দেখতে। আমি তারকা সন্তান, তাই আমি লাইমলাইটের মধ্যে বড় হয়েছি। এইসব জিনিস অস্বীকার করাটা আমার বোকা বোকা লাগে। তিনি নিজের নাকের প্লাস্টিক সার্জারি সম্পর্কে বলেন, আমার খুব সাধারণ নাক ছিল, কিন্তু দুর্ঘটনার ফলে আমার নাকে সমস্যা দেখা যায়, এমনকি আমার শ্বাস নিতেও অসুবিধা হত-তাই সার্জারি করার সিদ্ধান্ত নিই'।
লিপ-ফিলারের কথা স্বীকার করে নিয়ে শ্রুতি হাসান বলেন, 'আমি নিজের ঠোঁট নিয়ে অনেক পরীক্ষা করেছি।একটা সময় এটা নিয়ে আমি পাগল হয়ে গিয়েছিলাম। বেশ কয়েক বছর এটা চলেছে। এখন আমার ঠোঁট অনেকটাই স্বাভাবিক জায়গায় ফিরে এসেছে। আমি প্রত্যেককে জানি বলিউডে যারা লিপ-ফিলার করায়,কিন্তু সবাই বলে লিপ-বাম লাগিয়েছি'।
পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (পিসিওএস) এবং ডিসমেনোরিয়া রোগের বিষয়ে বলতে গিয়ে কমল হাসান কন্যা বলেন, 'প্রত্যেক মাসে ঋতুস্রাব চলাকালীন ওটা একটা কঠিন লড়াই। আমার মতো হয়ত অনেক মেয়েকেই এর সম্মুখীন হতে হয়। ওজন বাড়া-কমা, চুল পড়ে যাওয়া কিংবা শরীরে অতিরিক্ত লোম, পিম্পল, সবচেয়ে বড় ঘন ঘন মুড পাল্টে যাওয়া'।