দু-দিন আগেই সৃজিতের অসুস্থতার খবর সামনে এসেছিল। মিথিলা জানান, ভাইরাল জ্বরে কাবু স্বামী। তবে চিন্তার কোনও কারণ নেই। এর মাঝেই ‘সৃজিলা’র সংসারে এসেছে নতুন অতিথি। হ্যাঁ, আপতত পরিবারের নতুন সদস্যকে ঘিরেই মুখে হাসি ফুটছে মিথিলার। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিবারের নতুন সদস্যের সঙ্গে আলাপ করিয়েছেন তিনি।
ইনস্টায় ‘বেবি এলা’র সঙ্গে আলাপ করালেন সৃজিত ঘরণী। আইরা তো সারাক্ষণ এই বেবিকে নিয়েই ব্যস্ত। ভাবছেন কে এই এলা? যাঁকে ঘিরে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে গোটা পরিবার। মিথিলার চারপেয়ে সন্তান এলা। শিহ তাজু (Shih Tzu) প্রজাতির একটি মিষ্টি কুকুরছানাকে ঘরে এনেছেন মিথিলা। তাঁর মিষ্টি ভিডিয়ো পোস্ট করে অভিনেত্রী লেখেন- ‘বেবি এলা…. আমাদের আনন্দের ঠিকানা’।
নিজের মতো করে সারা ঘর দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এই খুদে। গলায় গোলাপি রঙা বেল্ট এবং সেখান থেকে ঝুলছে একটি মিষ্টি ঘন্টা। গোলগোল চোখে মিথিলা ও আইরাকে দেখতে ভুলছে না সে। নতুন পরিবারে এসে দারুণ খুশি সে, তা বুঝিয়ে দিচ্ছে তাঁর অভিব্যক্তি। মিথিলা আর আইরা দুজনেই পশুপ্রেমী। সারমেয়র প্রতি প্রেম মিথিলার ইনস্টা প্রোফাইলে চোখ রাখলেই ধরা পড়ে। অনেকেই আদরে ভরিয়েছেন সৃজিলার পরিবারের নতুন সদস্যকে, অনেকে আবার কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি। ব্যক্তিগত জীবন টেনে আক্রমণ করা হয় সৃজিত ঘরণীকে। তিনি অবশ্য পালটা জবাব দেননি।
এই মুহূর্তে ক্যালক্যাটা ইন্টারন্যাশন্যাল স্কুলে পড়াশোনা করছে আইরা। পড়াশোনার ফাঁকে সুযোগ পেলে মায়ের সঙ্গে ঘুরতে বেরিয়ে পড়ে সে। মাসখানেক আগেই মেয়েকে নিয়ে ইউরোপ সফরে গিয়েছিলেন মিথিলা। যদিও মূলত পিএইচডি-র কাজেই সুইৎজারল্যান্ড গিয়েছিলেন তিনি, তার ফাঁকে একটু ঘুরে দেখা সে দেশ। অভিনয় কেরিয়ারের পাশাপাশি হাজারো দায়িত্ব তাঁর কাঁধে। সমাজকর্মী দক্ষিণ আফ্রিকার দেশগুলির উন্নয়নে নিবেদিত প্রাণ তিনি। সবটাই সমানতালে সামলাচ্ছেন।
গত কয়েক বছরে সৃজিতের সঙ্গে বিচ্ছেদ নিয়ে কম গুঞ্জন কানে আসেনি। গোটা বিষয় নিয়ে বেজায় বিরক্ত ‘মায়া’ খ্যাত তারকা। গত মাসে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মিথিলা জানান- ‘আমার মনে হয় যেকোনও দাম্পত্যে স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া, খিটিমিটি,খুবই সাধারণ বিষয়। সেটা কোথা থেকে কীভাবে খবরে চলে আসছে বুঝতে পারি না। আমি যেহেতু বাইরে বাইরে থাকি, নিজেদের মধ্যে বিষয়গুলির সমাধান হওয়ার আগেই বিষয়গুলো পাবলিক হয়ে যায়। এবার যদি সত্যিই সিরিয়াস কিছু ঘটে, সেটা তো আমরা জানাবই। তার অপেক্ষা না করে এই যে গুঞ্জন বলে খবর হয়ে যাচ্ছে। সত্যিই বিচ্ছেদ হলে এরপর কেউ বিশ্বাস করবেন না। সেই পালে বাঘ পড়ার মতো হবে’।