সোমবার কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন বর্ষীয়ন কিংবদন্তি পরিচালক তরুণ মজুমদার। শোকে পাথর টলিউড। চোখের জল বাধ মানছে না পরিচালকের স্ত্রী সন্ধ্যা রায়েরও। কাজের সূত্রেই প্রথম আলাপ দু'জনের। প্রথমে বন্ধুত্ব তারপর প্রেম। ২৫ বছরের দাম্পত্য জীবন ছিল দু'জনের।
যদিও বছর কয়েক ধরেই আলাদা থাকতেন দু'জনে। এর কারণ যদিও খোলসা করেননি কেউই কখনও। তবে তরুণবাবুর মৃত্যু সংবাদ পাওয়ার পরে আর চোখের জল ধরে রাখেতে পারেননি অভিনেত্রী। অসুস্থতার খবর জানার পর থেকেই নাওয়া-খাওয়া ভুলেছিলেন। তরুণ মজুমদারকে দেখতে এসএসকেএম-ও ছুটে গিয়েছিলেন সন্ধ্যা। তবে সিসিইউতে থাকায় দেখা পাননি।
এই আলাদা থাকা নিয়ে চারিদিকে নানা খবর। কেউ কেউ বলছেন খাতায় কলমে এখনও তাঁরা স্বামী-স্ত্রী, আবার কেউ কেউ বলছেন বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছিল বছরকয়েক আগেই। তবে কাজ পাগল দুটো মানুষই ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কথা বলেননি কখনোই সেভাবে।
১৯৬৫ সালে ‘একটুকু বাসা’ এবং ‘আলোর পিপাসা’ ছবিতে প্রথম তরুণ মজুমদারের সঙ্গে কাজ করেন সন্ধ্যা। ‘ঠগিনী’, ‘ফুলেশ্বরী’, ‘পলাতক’, ‘নিমন্ত্রণ’, ‘কুহেলি’, ‘সংসার সীমান্তে’র মতো একাধিক ছবিতে কাজ করেছেন দু'জন।
হিন্দুস্তান বাংলার পক্ষ থেকে সোমবার যোগাযোগ করা হলে সন্ধ্যা রায় জানান, ‘জানি না আজ কী বলব। আজ গুছিয়ে কথা বলার দিন নয়। অন্য এক দিন যোগাযোগ করা হলে হয় তো অনেক কিছু বলতে পারব। ওঁকে নিয়ে কথা বলতে গেলে শেষ হবে না। অনেক স্মৃতি আছে। ২৫ বছরে তো কম স্মৃতি তৈরি হয়নি। ওঁকে শেষ বার দেখতে যাব কি না, জানি না। ও অনেক কিছু করেছে। আমি শুধু সঙ্গী মাত্র।’