তাঁদের গল্পই অস্কার এনে দিয়েছে। অস্কারের মঞ্চে ভারতকে গর্বিত করেছে তথ্যচিত্র টিম ‘দ্য এলিফ্যান্ট হুইস্পারার্স’। যেখানে উঠে এসেছিল তামিলনাড়ুর ধরমপুরিতে বেড়ে ওঠা অনাথ হস্তিশাবক রঘু-বোম্মির বাস্তব কাহিনি। উঠে এসেছিল রঘু-বোম্মিকে বড় করে তোলা মাহুত দম্পতি কে বোম্মান ও তাঁর স্ত্রী বেলির গল্প। তথ্যচিত্রটি বানিয়েছিলেন প্রযোজক গুণিত মঙ্গা এবং পরিচালক কার্তিকী গনসালভেস। অস্কার জয়ের পর মাহুত দম্পতি বোম্মান ও বেলির কাছে গিয়ে তাঁদের সঙ্গে অস্কার হাতে ছবিও তুলেছিলেন পরিচালক কার্তিকী। এবার সেই পরিচালক কার্তিকি গনসালভেস এবং শিখ্যা এন্টারটেইনমেন্টের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনলেন মাহুত দম্পতি।
গত ৪ আগস্ট একটি ইউটিউব চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মাহুত দম্পতি বোম্মান ও বেলি তথ্যচিত্র নির্মাতাদের বিরুদ্ধে আর্থিক শোষণ ও হয়রানির অভিযোগ এনেছিলেন। শুধু তাই নয় অস্কারজয়ী তথ্যচিত্র নির্মাতাদের কাছ থেকে সৌজন্য দেখাতে (‘goodwill gesture’) ২ কোটি টাকা চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন মাহুত দম্পতি বোম্মান ও বেলি।
আরও পড়ুন-গৃহস্থালির জিনিসপত্র নিয়ে বন্ধুদের অক্ষয়ের নাচ, কী ‘পাগলামো’টাই না করলেন…
আইনি নোটিশে কি বলা হয়েছে?
আইনি নোটিশে বলা হয়েছে, নির্মাতারা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা পেয়েছেন। নির্মাতারা মাহুত দম্পতিকে ছবি তৈরির সময় বেশকিছু প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তাঁদের সময় ব্যয়ের জন্য ক্ষতিপূরণ হিসাবে একটি উপযুক্ত বাড়ি, একটি বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা যায় এমন যানবাহন এবং পর্যাপ্ত আর্থিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তবে কাজ শেষে তাঁরা সেটা আর দেননি। এমনকি ছবিটির বিপুল লাভ করার পরও তাঁরা তাঁদের কোনও টাকা দিতে রাজি নন।
মাহুত দম্পতি বোম্মান ও বেলির আরও অভিযোগ, তাঁরা তথ্যচিত্র তৈরির সময় এই পরিচালক কার্তিকীর কথা মতো চলেছেন, যা করতে বলা হয়েছিল তাই করেছেন। একটাই আশা ছিল যে ছবিটি যাতে ভালো হয়, তাহলে সেটা সকলের জন্যই ভালো। তবে পরিবর্তেপরিচালক কার্তিকী গনসালভেস এখন তাঁদের ফোনও ধরছেন না।
এদিকে মাহুত দম্পতিদের মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবী মহম্মদ মনসুর জানিয়েছেন, তাঁরা পরিচালক ও তথ্যচিত্র নির্মাতাদের কাছ থেকে আইনি নোটিশের উত্তরে একটা চিঠি পেয়েছেন। যেখা পরিচালক এবং শিখ্যা এন্টারটেইনমেন্টের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, তাঁরা মাহুত দম্পতিকে যা টাকা দেওয়া তাঁরা আগেই দিয়েছেন, আর কোনও সাহায্য তাঁরা করতে পারবেন না। এক্ষেত্রে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানা হয়েছে মাহুত দম্পতির আইনজীবী।
যদিও পরিচালক কার্তিকী ও তথ্যচিত্র নির্মাতাদের দাবি, যা দেওয়ার তা আগেই দেওয়া হয়েছে। মাহুত দম্পতির দাবি মিথ্যে।