কলকাতা নাইট রাইডার্সের মালিক শাহরুখ খান। বাদশার তো নাড়ির টান নেই বাংলার সঙ্গে। বাংলা বলতে না পারলেও অভিনেতা সইফ আলি খান কিন্তু অর্ধেক বাঙালি। ইন্ডিয়ান স্ট্রিট প্রিমিয়ার লিগে (আইএসপিএল) তাই কলকাতা ফ্র্যাঞ্চাইজি কিনেছিলেন পতৌদির নবাব। নিজে সেভাবে ক্রিকেটের ব্য়াট হাতে না ধরলেও সইফের বাবা মনসুর আলি খান পতৌদি ভারতের অন্যতম কিংবদন্তি ক্রিকেট তারকা।
ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে আইএলপিএলের প্রথম মরসুম। আর ফাইনালে একতরফা মোকাবিলায় অভিষেক বচ্চনের মাঝি মুম্বইকে হারিয়ে চাম্পিয়ান হয়েছে টাইগার্স অফ কলকাতা। ১০ ওভারের ফর্ম্যাটের এই টুর্নামেন্টের ফাইনাল মোকাবিলা ছিল গত ১৫ই মার্চ।
টাইগার্স অফ কলকাতার যৌথ মালিকানা রয়েছে সইফ ঘরণী, করিনা কাপুর খানেরও। টি-টেন ফর্ম্যাটের প্রতিযোগিতায় ভাবেশ পাওয়ার, মুন্না শেখ, রাজু মাখিয়ার মতো প্লেয়াররা টাইগার্স অফ কলকাতার হয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দিয়েছে। তবে ফাইনাল তো দূর অস্ত টুর্নামেন্ট শুরুর বহু আগেই কলকাতার জয়ের ভবিষ্যতবাণী সেরে ফেলেছিলেন সইফ।
গত ২৫শে ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছিল ইন্ডিয়ান স্ট্রিট প্রিমিয়ার লিগের নিলাম। সেই নিলাম শেষে মঞ্চে উঠে ISPL-এর ট্রফি হাতে নেন সইফ। মাঝি মুম্বইয়ের মালিক অভিষেক বচ্চনের হাত থেকে কার্যত সেটি ছিনিয়ে নেন সইফ, সেই কাহিনি ফাঁস করেছেন টাইগার্স অফ কলকাতার যৌথ কর্ণধার অক্ষ কম্বোজ।
অক্ষ জানান, ‘নিলামের দিন আমার বন্ধু তথা দলের যৌথ কর্ণধার সইফ নিজেই মঞ্চে উঠে ট্রফিটা হাতে নিয়ে নেন, হয়ত সেটাই আমাদের জয়টা সেইদিনই নিশ্চিত করে দিয়েছিল’।
অক্ষর কথায় সইফ-করিনা গোটা দলকে শুরু থেকে অনুপ্রাণিত করেছেন। মালিকদের সমর্থন দলের মনোবল বাড়িয়ে দেয়, বিশ্বাস অক্ষর। স্থানীয় ক্রিকেটকে প্রচারের আলোয় আনতেই এই উদ্যোগ। মামারবাড়ির শহরের দল কিনেই উচ্ছ্বাস জাহির করেছিলেন সইফ। জানিয়েছিলেন, ‘কলকাতা এমন একটা শহর, যেটা আমার হৃদয়ের খুব কাছের। আমার মা (শর্মিলা ঠাকুর) এবং অর্ধেক পরিবার (মামার বাড়ি) কলকাতার মানুষ। আমার পরিবারের অর্ধেক ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত। আশা করি নতুন এই প্রতিযোগিতায় কলকাতার মানুষের সমর্থন পাব’।
প্রসঙ্গত, শুধু স্ট্রিট ক্রিকেট নয়, সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগের ট্রফিও রবিবার জিতেছে বাংলার দল। যিশুর নেতৃত্বে বেঙ্গল টাইগার্স ফাইনালে ১২ রানে পরাজিত করেছে কিচ্চা সুদীপের কর্নাটক বুলডোজারকে।