টলিউডের জনপ্রিয় নায়িকাদের তালিকায় নাম আসে এই অভিনেত্রীর। তারকা হওয়ায় কটাক্ষ তো রয়েইছে, কিন্তু ভালোবাসার মানুষ কিছু কম নেই। একটু ঠোঁটকাটা বলে পরিচিত যদিও, তবুও অনেকের কাছেই তিনি আইডল। পুরুষ হৃদয়ে সৌন্দর্য দিয়ে ঝড়তো তোলেনই, সঙ্গে মহিলা ভক্তর সংখ্যাও চমক লাগার মতো।
খুব অল্প বয়সে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন। বয়স সবে ১৮। বাবা-মা'র পছন্দ করা পাত্রের সঙ্গে দেখাশোনা করে গিয়েছিলেন ছাদনাতলায়। বছরখানেকের মধ্যেই সন্তান আসে গর্ভে। আর মেয়ে কোলে আসার আগেই ছাড়াছাড়ি। যদিও এসব ২০ বছরেরও বেশি সময় আগের কথা। এত বছর ধরে আইনি লড়াই চালিয়েও পাননি ডিভোর্স। মেয়েকে একাই বড় করে তুলেছেন।
বুঝেতে পারলেন কার কথা হচ্ছে? এই নায়িকার ছবি আপাতত চলছে হলে। নাম বিজয়ার পরে। যাতে তাঁর সঙ্গে রয়েছেন মমতা শঙ্কর, মীর আফসার আলি-রা। এবার নিশ্চয়ই বুঝতে পারলেন এই ছোট্ট মেয়েটি আর কেউ নন, আজকের নামজাদা অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। অবশ্য টলি-হিরোইন বললে কম বলা হবে, কারণ এখন বলিউডেও নিজের জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। বাবা সন্তু মুখোপাধ্যায়ের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ছবিখানা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে নেন স্বস্তিকা।
লিখলেন, ‘যেখানেই থাকো পরের জন্মে আমার বাবা হয়েই এসো কিন্তু। তোমার কথা রোজ মনে পরে, অবশ্য পরার কিছু নেই তুমি আমার মনেই থাকো সর্বক্ষণ। তোমার ফেলে যাওয়া আসবাবপত্র, তোমার চশমা, বই পত্তর, জামাকাপড় সব যেমন ছিল তেমনি আছে। গুছিয়ে রেখেছি। খালি মনে হয় কখনও যদি ফিরে আসো আর কিছু খুঁজে না পাও, যদি ভাবো তোমায় ভুলে গেছি, তোমার কোনও চিহ্ন নেই আর, ওই ভয়ে সব যত্ন করে আগলে রাখি।’
সঙ্গে আরও জুড়লেন, ‘আগে মরে যাওয়ার কথা ভাবলে ভয় হত, এখন আর হয় না। ভাবি মরে গেলে আবার তোমাকে আর মা কে দেখতে পাব।’ সঙ্গে প্রয়াত বাবার উদ্দেশে তাঁর অভিযোগ, ‘আগে তুমি প্রায়শই স্বপ্নে আসতে, অনেক কাল আর আসো না। একদিন এসো বাবা, তোমায় অনেকদিন দেখিনি। তোমার পরা জামাগুলো থেকে ঘামের গন্ধ টা মুছে গেছে, তাই তোমার প্রিয় পারফিউম গুলো মাঝেমাঝে মাখি, মনে হয় এই বুঝি তুমি বাড়ি ফিরলে, এই বুঝি আমায় ডাকবে। তোমার মতন করে কেউ আমায় ডাকে না। কত ঘ্যানঘ্যান জমে আছে, তাড়াতাড়ি দেখা করো। তোমার গায়ে পরে থাকব, অনেক গল্প করব। এক হাজার কথা জমে আছে।’