দিদি নম্বর ওয়ান-এর মঞ্চে গিয়ে 'দিদি' রচনার সঙ্গে জমিয়ে আড্ডা। এতো রোজকার ঘটনা। কার না ভালো লাগে আড্ডা দিতে! সম্প্রতি রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শোয়ে উপস্থিত ছিলেন টেলিপর্দার বেশকিছু পরিচিত মুখ। গিয়েছিলেন, 'আলোর কোলে'র 'আলো' স্বীকৃতি মজুমদার। ও ‘মিলি’ খেয়ালী মণ্ডল।
রচনা প্রশ্ন করেন, ‘অভিনয় দুনিয়ায় কতদিন হল স্বীকৃতি?’ উত্তর আসে, ‘হয়ে গেল প্রায় ৩ বছর। ইঞ্জিনিয়ারিং করছিলাম, সেখান থেকে প্লেসমেন্টে চাকরি পাই, বোম্বে চলে যাই। তার মাঝখানে একটা বিউটি কনটেস্টে মা জোর করে পাঠিয়েছিলেন, সেখানে সেকেন্ড হই।’ রচনা মাঝখানে বলেন, ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে অভিনয়ে! এরপর স্বীকৃতি আরও জানান, এরই মাঝে চ্যানেল থেকে ফোন আসে, অডিশনে ডাকা হয়। বলা হয়, তোমাকে আমরা ভাবছি, তো অডিশনে গিয়ে সিলেক্টও হয়ে যাই।'
স্বীকৃতি জানান, তাঁর বড় হওয়া পুরোটাই কলকাতায়, পরিবারে রয়েছে বাবা-মা আর ভাই। স্বীকৃতি জানান, ‘আমার বাবা-মা একটু অন্যরকম, প্রথম থেকেই ওঁরা বলতেন, তুই নাচিস ভালো, এটা করিস ভালো, তুই এগুলিই কর। কেন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে যাচ্ছিস, জয়েন্টই বা কেন দিবি!’ স্বীকৃতির কথায়, ইঞ্জিনিয়ারিং নিজের ইচ্ছেতেই পড়েছিলেন।
এমন কথায় অবাক রচনা বলেন, ‘বাবা, ভাবা যায়! আর আমরা তো ছেলেমেয়েদের বলি, এই বড় হতে হবে, ডাক্তার হতে হবে, ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে হবে। আর ওর এত্ত ভালো, ফ্রেন্ডলি বাবা-মা।’
আরও পড়ুন-'৪টে পাইথন আছে, শুনছি আরও আসবে, বাড়িতে সেটা আমার সত্যিই ভয়ের কারণ…', বলছেন মিথিলা
ছুটি পেলে কী করেন? একথায় স্বীকৃতি বলেন, ‘প্রচন্ড ল্যাদখোর একটা মানুষ। ঘুমতে ভালোবাসি, আর টিভি দেখতে ভালোবাসি।’
এদিকে পর্দার 'মিলি' খেয়ালী মণ্ডল বলেন, ‘মিলি চলাকালীন মনে হচ্ছিল, কবে একটু ছুটি পাব, এখন এতটাই ছুটি যে চোখ বন্ধ করে ঘুম আসছে না।’ মিলি খেয়ালী মণ্ডল জানান, তাঁর শুরু নাচ দিয়েই। ১০ বছর আগে 'ডান্স বাংলা ডান্স'-এ প্রথম আমি এই ফ্লোরেই এসেছিলাম। প্রথম ব্যাকআপ ডান্সার হিসাবে কাজ শুরু। তারপর ২০২০তে আমি ডান্স নিয়ে ভূপাল থেকে ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড পাই। তারপর কলেজে ভর্তি হয়ে আমার স্বপ্ন ছিল কলকাতায় আসব, অভিনয় করব। এরপর কলেজে ভর্তি হওয়ার ১ সপ্তাহের মধ্যে অভিনয়ে এলাম।'
খেয়ালী বলেন, ‘আমিও স্বীকৃতি-দির মতো ল্যাদখোর। আমার রেকর্ড আছে, আমি টানা ১৮ ঘণ্টা ঘুমিয়েছি। তারপর ঘুম থেকে উঠে ব্রাশ করে আবার ঘুমিয়ে পড়েছি। মা অতিষ্ঠ হয়ে যান, যে মেয়ে বাড়িতে থাকলে নাহয় ফোন, নয়ত ঘুম।’