তিন দেশের যৌথ প্রয়াসের নাম ‘উপলব্ধি’। ঠিক-ভুল, আপেক্ষিক-চিরকালীনের তফাৎ বোঝার নামই হল ‘উপলব্ধি’। আর এখন যে ‘উপলব্ধি’র কথা বলছি সেটা একটি শর্ট ফিল্ম। অরিজিৎ মুখোপাধ্যায় পরিচালিত এই শর্ট ফিল্মে উঠে এসেছে সম্পর্কের কথা। সম্পর্কের বিভিন্ন দিকের কথা।
গল্পটি আবর্তিত হয় মূলত তিনটি চরিত্রকে নিয়ে। মিতালি, বিপাশা এবং রীতেশকে নিয়ে এগোয় এই গল্প। রীতেশের স্ত্রী হলেন মিতালি, যে সংসারের জন্য অনেকটাই আত্মত্যাগ করেছে। কিন্তু তবুও তাঁর স্বামীর মন মজে পরকীয়ায়। কিন্তু তারপর কী এমন হয় যে তাঁর স্বামী তাঁর কাছেই আবার ফিরে আসে? কী ‘উপলব্ধি’ করেন তিনি সেটা নিয়েই এই ছবি।
মিতালির চরিত্রে এখানে অভিনয় করেছেন সৌমিলি ঘোষ বিশ্বাস। বিপাশার চরিত্রে দেখা গিয়েছে মাফিন চক্রবর্তীকে এবং জয়দীপ চক্রবর্তী রয়েছেন রীতেশের চরিত্রে। এই ছবিটি মূলত ভারত, আবু ধাবি এবং বাংলাদেশের মিলিত প্রচেষ্টা।
ছবি প্রসঙ্গে সৌমিলি জানান, 'অরিজিৎ দার সঙ্গে বহু বছর পর কাজ করলাম, আর পুরনো মানুষদের সঙ্গে কাজ করে মজাই আলাদা। ভালো অভিজ্ঞতা হয় সবসময়ই। মাফিনকে বহুদিন চিনলেও ওর সঙ্গে আমার কোনও সিন ছিল না, তবে জয়দীপদার সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা বেশ ভালো।'
একই রকম সুর শোনা গেল মাফিন চক্রবর্তীর মুখেও। তিনি তাঁর চরিত্রের বিষয়ে জানান, 'আমার চরিত্রটা নেগেটিভ। কিন্তু প্রথমে কেউ বুঝবে না।' তিনি একই সঙ্গে কাজ প্রসঙ্গে বলেন, 'এঁরা এত অর্গানাইজড যে কাজ করে খুব আনন্দ পেয়েছি। সিরিয়ালে যেমন দিনের দিন স্ক্রিপ্ট আসে এখানে অনেক আগেই থেকেই কবে কী হবে না হবে সবটা জানিয়ে দেওয়া হতো। কাজের পরিবেশ তো অত্যন্ত ভালো পেয়েছি।'
আরও পড়ুন: 'দিন শেষে চ্যানেলও ব্যবসা করতে এসেছে', একের পর এক সিরিয়াল বন্ধ হওয়া নিয়ে কী বললেন মাফিন
আজকাল যেখানে সম্পর্কের এত ভাঙা গড়া চলে, লোকজন সম্পর্কের থেকে সিচুয়েশনশিপ বা ফ্রেন্ডস উইথ বেনিফিট, ইত্যাদি ভাবনায় বেশি বিশ্বাসী সেখানে এমন একটা ভাবনা নিয়ে কাজ করা কেন? এই প্রসঙ্গে পরিচালক বলেন, 'আমি আমার হাউজের মাধ্যমে সবসময়ই সোশ্যাল ইস্যু নিয়ে কথা বলে এসেছি। এটাও তেমন। মাফিন এবং সৌমিলির সঙ্গে আগেও কাজ করেছি, আবার করে ভালো লাগল।'