কলকাতায় বিদ্যুৎ জামওয়াল। নিজের ছবি ‘ক্রাক: জিতেগা তো জিয়েগা’-র প্রচারে সোমবার শহরে আসেন অভিনেতা। কলকাতায় এসে রাস্তার ধারের দোকান থেকে খাবার খেতে, মিষ্টি খেতেও দেখা যায় বিদ্যুৎ জামওয়ালকে। অ্যাকশন হিরো বিদ্যুৎ জামওয়ালকে দেখতে এদিন ভিড় জমিয়েছিলেন তরুণ-তরুণীরা।
সোমবার বাইপাস সংলগ্ন এক রেস্তোরাঁয় ছবির প্রচার করতে দেখা যায় বিদ্যুৎ জামওয়ালকে। সেখানেই ভিড় জমিয়েছিলেন বহু লোকজন। এছাড়া শহরের একটা নামী কলেজে হঠাৎ করেই পৌঁছেছিলেন অভিনেতা। যাতে চমকে যান ছাত্র-ছাত্রীরা। এদিন কলকাতার বিখ্যাত হলুদ ট্যাক্সিতেও চড়ে বসেন অভিনেতা। চালকের আসনে বসে গাড়ি চালানোরও চেষ্টা করেন। এদিন ফের একবার কলকাতায় তাঁর অনুরাগীদের অপ্রতিরোধ্য ভালবাসা ও সমর্থন পেয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন অভিনেতা বিদ্যুৎ জামওয়াল।
প্রসঙ্গত গত ২৩ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পেয়েছে বিদ্যুৎ জামওয়াল অভিনীত ছবি ক্রাক: জিতেগা তো জিয়েগা। এই ছবিতে বিদ্যুৎ জামওয়াল ছাড়াও রয়েছে অর্জুন রামপাল, নোরা ফাতেহি এবং অ্যামি জ্যাকসন।
বিদ্যুৎ অবশ্য এই প্রথম কলকাতায় এসেছেন এমনটা নয়। গত বছরও তাঁর 'আইবি ৭১'- ছবির প্রচারে কলকাতায় এসেছিলেন অভিনেতা। সেবারই জানিয়েছিলেন কলকাতার সঙ্গে তাঁর যোগ বহু পুরনো। তাঁর বাবা আর্মিতে ছিলেন. আর কলকাতাতেই ছিল অভিনেতার বাবার পোস্টিং। কলকাতার কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়েই পড়াশোনা করেছেন বলে জানিয়েছিলেন বিদ্যুৎ জামওয়াল। সেবার এসে কালীঘাটের মন্দিরে পুজো দিতেও দেখা গিয়েছিলেন বিদ্যুৎকে।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে সম্পূর্ণ বিবস্ত্র হয়ে জঙ্গলে দিন কাটাতে দেখা যায় বিদ্যুৎ জামওয়ালকে। কখনও তাঁকে জঙ্গলে কাঠ জ্বেলে রান্না করতে দেখা যায়, কখনও আবার নদীর জলে নেমে স্নান করতেও দেখা যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল অভিনেতার সেই পোস্ট। ছবিগুলো পোস্ট করে অভিনেতা লিখেছিলেন, ‘ফিরে গেলাম হিমালয়ের কোলে, ঈশ্বরের বাসস্থান। আমি এই কাজটা ১৪ বছর আগে শুরু করেছিলাম। আমি বুঝে ওঠার আগেই এটা আমার জীবনের অঙ্গ হয়ে উঠল। প্রতি বছর ৭-১০ দিন আমি একা গিয়ে এখানে কাটিয়ে আসি’। লিখেছিলেন, ‘বিলাসবহুল জীবন থেকে জঙ্গলে আসলে আমি আমার একাকিত্বকে উপভোগ করি। বুঝি আমি কে, আর আমি কে নই। প্রকৃতির এই বিলাসবহুল জায়গায় নিজেকে খুঁজে পাই আমি। আমি আমার কমফোর্ট জোনের বাইরেই সব থেকে ভালো থাকি’।
তাঁর এই কাণ্ড নিয়ে চর্চা শুরু হতেই অভিনেতা জানিয়েছিলেন, তিনি গত ১৪ বছর ধরে এই কাণ্ডটিই করে আসছেন। জানিয়েছিলেন, প্রতি বছর প্রায় ১৫-২০ দিন নিজের সঙ্গে তিনি এভাবেই সময় কাটান। সেটা কখনও জঙ্গলে, কখনও অন্যত্র, তবে অবশ্যই প্রকৃতির মাঝে।