হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু পরমবীর চক্র প্রাপক ক্যাপ্টেন বিক্রম বাত্রার মা কমল কান্তা বাত্রার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন। বুধবার কাংড়া জেলার পালমপুরে না ফেরার দেশে চলে যান বীর সন্তানের জন্মদাত্রী। মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর।
সুখবিন্দর সিং সুখু লিখলেন, ‘শহীদ ক্যাপ্টেন বিক্রম বাত্রার মা কমল কান্তা বাত্রার মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। আমরা ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, তিনি যেন মাতাজিকে তাঁর চরণে স্থান দেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারকে এই অপরিসীম শোক সহ্য করার শক্তি দেন।’
আরও পড়ুন: রালিয়ার পার্টি বানচাল শাহরুখের, রইস-লুকে ছাদ ভেঙে এন্ট্রি, অবাক গঙ্গুবাই-রকস্টার
১৯৯৯ সালে কার্গিল যুদ্ধের সময় দেশের হয়ে লড়াই করেছিলেন ক্যাপ্টেন বিক্রম বাত্রা। যুদ্ধক্ষেত্রেই প্রাণ হারান তিনি। নিজের সাহসী পদক্ষেপের জন্য ভারতের সর্বোচ্চ সামরিক সম্মান পরমবীর চক্র অর্জন করেছিলেন। এই শহীদকে নিয়ে ২০২১ সালে মুক্তি পেয়েছিল শেরশাহ সিনেমাটি। তারপর থেকে যথেষ্ট আলোচনায় ছিলেন বাত্রা পরিবার। দেশের বীর যোদ্ধার মা-বাবাকে আপন করে নিয়েছিল ভারতবাসী। ফলত কমল কান্তা বাত্রার মৃত্যুতে শোকের ছায়া সর্বত্র।
আরও পড়ুন: ২৭ সেকেন্ডের বেড সিনের কামাল, বাড়ল তেরি বাতো মে অ্যায়সার আয়, ২০০ কোটি ফাইটারের
নিজের অনুকরণীয় কৃতিত্বের কারণে, ক্যাপ্টেন বিক্রম পরমবীর চক্রের পাশাপাশি পেয়েছিলেন 'টাইগার অফ ড্রাস', 'কারগিলের সিংহ' এবং 'কারগিল হিরো' এর মতো বেশ কিছু উপাধি। বাত্রার পাঞ্চলাইন, বিজয়ের স্লোগান 'ইয়ে দিল মাঙ্গে মোর' জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল।
আরও পড়ুন: কেরামতি নিম ফুলের মধু-র, গীতা এলএলবিকে টপকাল, টিআরপি-তে হারাল কি ফুলকি-জগদ্ধাত্রীকেও?
শেরশাহ ছবিতে বিক্রম বাত্রার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন সিদ্ধাত্র মলহোত্রা। অন্য দিকে, বিক্রমের বাগদত্তা ডিম্পলের চরিত্রে দেখা যায় কিয়ারা আডবানিকে। ছবি বক্স অফিসে পেয়েছিল তুমুল সাফল্য। প্রশংসা করেছিলেন বিক্রম বাত্রার বাবা গিরিধারী লাল বাত্রা এবং মা কমল কান্তা বাত্রাও। তাঁদের কথায়, 'খুব সুন্দর, দারুণ হয়েছে এই ছবি'।
বিক্রমের এবং ডিম্পলের বিয়ের আগেই শহীদ হয়েছিলেন ভারতের এই বীর তরুণ। তবে তারপর থেকে অন্য কোনও ব্যক্তিকে বিয়ে করেননি 'শেরশাহ'-এর ভালোবাসার মানুষ। ডিম্পলের পরিবার তো বটেই, এমনকি বিক্রমের পরিবারের কোনও কথা কানে নেননি ডিম্পল। ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে কাটানো স্মৃতিকে সংগ্রহ করেই কাটাচ্ছেন জীবন।
কিয়ারা-সিদ্ধার্থের বিয়েতেও নিমন্ত্রিত ছিলেন বিক্রম বাত্রার পরিবার। এসেছিলেন যমজ ভাই, ভাইয়ের বউ ও তাঁদের মেয়ে।