সালটাস ছিল ১৯৯৭। মোবাইল কমিউনিকেশনকে আরও মজাদার করতে ইমোজির আবির্ভাব। এসএমএসে চট করে মনের ভাব প্রকাশ করার কাজেই শুরু হল এই ইমোটিকনের মাধ্যমে। শুরু থেকেই জনপ্রিয়তা পেতে থাকে ইমোজি। একে একে প্রায় সব মোবাইল কোম্পানিই নেমে পড়ে মাঠে।
এসএমএস থেকে হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামে বাড়তে থাকল ইমোজির ব্যবহার। হাসি, কান্না, মন খারাপ, উল্লাস সব কিছুই বোঝানোর এখন আমাদের সঙ্গী তো ইমোজিই। ইমোশন যখন নিমেষে হয়ে গেল ইমেজ। ১৭ জুলাইকে 'ওয়ার্ল্ড ইমোজি ডে' হিসেবে পালন করা হয়। আরও পড়ুন: ১২ বছর পার ‘জিন্দেগি না মিলেগি...’, কত টন টমোটে দিয়ে হোলি খেলেন হৃতিক-ক্যাটরিনা
সারাদিন হোয়াটসঅ্যাপে বা সোশ্যাল মিডিয়ায় ইমোজি দিয়ে আমরা মনেক নানা ভাব প্রকাশ করে থাকি। ইমোজি আমাদের আবেগের সঙ্গে যোগাযোগ করতে সাহায্য করে।World Emoji Day-তে দেখে নেওয়া যাক কোন ইমোজির কী মানে?
স্মাইলিং ফেস উইথ হার্ট আইজ- আই লভ ইউ বা আই লভ দিস বোঝায় এই ইমোজি।
রেড হার্ট- দূরে থেকেও প্রিয়জনকে ভালোবাসি জানাতে পারে এই ইমোজি।
নমস্কারে দে তালি- পার্টনারের হাতে হাত মিলিয়ে ঝটপট দে তালি। এটাই ছিল জাপানিদের তৈরি হাই ফাইভ ইমোজির মানে। ভারতে এসে এই ইমোজি হয়ে গেল নমস্কার!
গ্রিনিং ফেস- বন্ধুদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় এই ইমোজি ।
পরী আমি- মাথার উপর নীল রঙের বলয়! ইমোজির দুনিয়ায় এর নাম অ্যাঞ্জেল ফেস। এটি মূলত ব্যবহার হয়, সবজান্তা হয়েও, দেখুন আমি কতটা নিষ্পাপ বোঝাতেই!
স্মাইলিং ফেস উইথ সানগ্লাসেস- মুখে হাসি, চোখে চশমা-র এই ইমোজি ব্যবহার করা হয় 'কুল' বোঝাতে।
স্মাইলিং ফেস উইথ স্মাইলিং আইজ- খুশি বা আনন্দ বোঝাতে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয় এই ইমোজি ।
ফ্লাসড ফেস- কাউকে কোনও কাণ্ডে হাতে নাতে ধরে ফেলেছেন, সে ব্য়াটা বিষয়টা একেবারে কাটিয়ে দিল কিংবা অজান্তে মিসটেক করে বসলে এটি ব্যবহার করা যায়।
পার্টি পপার- পার্টি বা সেলিব্রেশন বোঝাতে দারুণ জনপ্রিয় এই ইমোজি।