২০১০ সালে সলমন খানের হাত ধরে বলিউড সফর শুরু করেছিলেন জরিন খান। এই ছবি বক্স অফিসে তেমন সাড়া না ফেললেও সুন্দরী জারিন হয়ে উঠেছিলেন টক অফ দ্য টাউন। সলমন খানের অন্ধ ভক্ত স্বপ্নের ভাবেননি মায়ানগরীতে তাঁর স্বপ্নসফরের সঙ্গী হবেন সলমন খান। ডেব্যিউ ছবিতে সলমন খানকে নায়ক হিসাবে পাওয়াটা আজও তাঁর কাছে স্বপ্নের মতোই মনে হয়। ফিভার নেটওয়ার্ক ও হিন্দুস্তান টাইমসের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত 100 Hours 100 Stars অনুষ্ঠানে আরজে আয়ুশিকে তেমনটাই জানালেন জারিন। অভিনেত্রী জানান,বীরের শ্যুটিংয়ে সময় আমি সারাক্ষণ এক নাগাড়ে হাঁ করে সলমনের দিকে তাকিয়ে থাকতাম। আমার বিশ্বাসই হতটা এটা সত্যি ঘটছে। আমি ছোট থেকে সলমনের ভক্ত, আমার পুরো পরিবার ওঁনার ফ্যান। বুঝতেই পারছেন অনুভূতিটা। সলমনও মাঝেসাঝে বিষয়টা লক্ষ্য করতেন'।
লকডাউনে পনভেলের ফার্ম হাউসে রয়েছেন ভাইজান। সেখানে সলমনের সঙ্গে রয়েছেন তাঁর পরিবার সহ ইউলিয়া, জ্যাকলিনও। সলমনের সঙ্গে কি এখন নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে জরিনের? অভিনেত্রীর কথায়, 'রোজ কথা হয় এমনটা নয়, তবে হ্যাঁ, আমি ওঁনার খোঁজ খবর নিয়েই থাকি। আর লকডাউনে উনি কেমন আছেন সেটা তো সবাই দেখতেই পাচ্ছে, ইনস্টাগ্রামে উনি নিয়মিত আপডেট দেন'।
আপতত বান্দ্রার ফ্ল্যাটে বাবা,মা এবং ছোট বোনের সঙ্গে দিন কাটছে জারিনের। আপতত ভীষণ ব্যস্ত নায়িকা। ঘরের কাজ সামলাতেই সারাদিন কেটে যাচ্ছে। তাই আরাম করার একদম ফুরসত নেই অভিনেত্রীর। ‘হ্যাঁ অনেকেই দেখলাম প্রচুর ছবি পোস্ট করছে, খাচ্ছে, ঘুমোচ্ছে, আমি তো বাড়ির কাজ সামলে উঠতে পারছি না..এত কাজ’, বললেন নায়িকা।
রমজানের মাস চলছে। তাই সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে সেহরি সারছেন। তারপর ফের ঘুম। অভিনেত্রী বললেন, 'ঘরের যে কাজ করতে কারুর এক ঘন্টা লাগে,সেটা আমি তিন ঘন্টা লাগাই। আমি সম্প্রতি টিকটক অ্যাকাউন্ট খুলেছি, ইউটিউবে চ্যালেন তৈরি করেছি। সময় পেলে কিছু নাচের ভিডিয়ো তৈরি করব। কিছু খাবারের রেসিপিও হয়ত থাকবে যা সহজে রান্না করা যাবে'।
লকডাউন মিটলে সবার প্রথম দুবাই যেতে চান জারিন।সেখানে তাঁর বেস্ট ফ্রেন্ড থাকেন। তাঁর কাছেই উড়ে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন নায়িকা।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে দুঃস্থের পাশে দাঁড়াতেই #100Hours100Stars-র উদ্যোগ নিয়েছে ফিভার নেটওয়ার্ট। দেশের সবচেয়ে বড় ডিজিট্যাল এই ফেস্টের মাধ্যমে জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের কুর্নিশ জানাচ্ছে ফিভার নেটওয়ার্ক ও হিন্দুস্তান টাইমস।এই ক্যাম্পেনের মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থ দান করা হবে পিএম কেয়ার্স ফান্ডে।